অনেকেই পেটের মেদ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। শরীরের তুলনায় পেটে দ্রুত মেদ জমতে শুরু করে। এ ছাড়াও উরুর মেদও বেড়ে যায় শরীরচর্চার অভাবে।
কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই ৮-১০ ঘণ্টা বসে থেকে অফিস করেন। এর মাধ্যমেই বেড়ে যায় পেট ও উরুর মেদ। আর এ মেদ যত সহজে জমতে শুরু করে; তা গলাতে ততই কষ্ট পোহাতে হয়।
কারো শরীরের উপরের অংশ হয়ত খুব একটা মোটা নয়। তবে তার শরীরের নিচের অংশ অর্থাৎ উরু তুলনায় মেদবহুল হয়।
ডায়েট করে পেটের মেদ কমানো গেলেও, গলতে চায় না উরুর মেদ। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে আপনি কিন্তু পেট ও উরু মেদ কমাতে পারবেন। জেনে নিন উপায়-
>> ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। এরপর হাঁটুন অথবা দৌড়ান। পারলে সাইকেলও চালাতে পারেন। পায়ের ওপর চাপ পরলেই আস্তে আস্তে কমতে থাকবে উরু।
>> সারাদিন বসে থেকে কাজ না করে, সময় পেলেই কিছুটা হাঁটাহাটি করুন। এছাড়া হাতে সময় করে রিক্সায় না চেপে বরং হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান।
>> ধীরে ধীরে দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ুন। এতে মেদ ঝরবে দ্রুত। জোড়ে দৌড়ালে দম খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়, এর ফলে বেশিক্ষণ দৌড়ানো সম্ভব হয় না।
>> প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। পানি খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। যার ফলে মেদ জমতে পারে না।
>> স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি তাজা ফল খান। টক দই এবং লো ফ্যাট চিজ খেতে পারেন।
এবার জেনে নিন পেট ও উরুর মেদ কমানোর ২টি সহজ ব্যায়াম-
>> পা দুটো সোজা করে রেখে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত নিতম্বের নিচে থাকবে। হাত দুটো নিচে রেখে পা দুটো এবার আরও ওপরে তুলতে হবে। ওপরে ওঠানোর সময় নিশ্বাস ছাড়তে হবে এবং নিচে নামানোর সময় নিশ্বাস নিতে হবে। এভাবে ১৫ থেকে ২০ বার করতে হবে।
>> দুই পায়ের মাঝে বেশ খানিকটা দূরত্ব রেখে মাটিতে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার হাফ সিটিং পজিশনে বসুন। আপনার মেরুদণ্ড ও শরীরের উপরের ভাগ যেন সোজা থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই পজিশনটি ২ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এরপর আবার সোজা হয়ে দাঁড়ান। এ প্রক্রিয়াটি পুনরায় করুন অন্তত ৩০ বার।
প্রতিদিন একই অনুশীলন না করে পরিবর্তন আনতে পারেন। ব্যায়ামের পরিবর্তন এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নদী বন্দর / এমকে