ফাঁসিতে ঝোলানোর আগেই হৃদরোগে মৃত্যু হয় স্বামীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক নারীর। কিন্তু তারপরও সেই নিথর দেহকেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে ইরানের রাজাই শাহর জেলে। খবর : নিউইয়র্ক পোস্ট।
ওই নারীর নাম জাহরা ইসমাইলি। তার স্বামী আলীরেজা জামানি পেশায় একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন। আলীরেজা তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নির্যাতন করতেন। আর এই নির্যাতনের হাত থেকে মেয়েদের বাঁচাতেই জাহরা স্বামীকে খুন করতে বাধ্য হন বলে তার আইনজীবীর দাবি। পরে স্বামীকে হত্যার দায়ে জাহরার মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়।
এদিকে, যে জেলে জাহরাকে ফাঁসি দেয়ার কথা ছিল, সেই রাজাই শাহর জেল বন্দিদের ওপরে অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত।
জাহরার আইনজীবী ওমিদ মোরাদির অভিযোগ, ফাঁসির আগে আরও ১৬ জন সাজাপ্রাপ্তের পেছনে লাইনে দাঁড় করানো হয়েছিল দুই সন্তানের মা জাহরাকে। চোখের সামনে একের পর একজনকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে সেই মানসিক ধাক্কা সামলাতে পারেননি তিনি। লাইনে দাঁড়িয়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। কিন্তু তারপরেও তাকে ছাড় দেয়া হয়নি।
মৃত্যুর পরেও জাহরার দেহটি ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গিয়ে দড়িতে বেঁধে ঝোলানো হয়। যাতে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর তার শাশুড়ি লাথি মেরে জাহরার পায়ের নিচ থেকে চেয়ারটি সরিয়ে দিতে পারেন।
মোরাদি আরও দাবি করেন, ডেথ সার্টিফিকেটে জাহরার মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।