পঞ্চম ধাপে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই ও বারইয়াহাট পৌরসভা রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোট শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
তিন পৌরসভাতেই প্রথমবারের মত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আগ্রহের পাশাপাশি আশঙ্কাও রয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকাগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র পদে প্রার্থী দুইজন। আওয়ামী লীগ মনোনী প্রার্থী মো. শাহজাহান সিকদার ও বিএনপির প্রার্থী হেলাল উদ্দিন শাহ। এখানে সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচন করছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন প্রার্থী।
রাঙ্গুনিয়ায় নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে আছেন। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৫১৯ জন, নারী ভোটার ১২ হাজার ২৭২ জন। ১১টি ভোট কেন্দ্রের ৭০টি বুথে এবার ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে মিরসরাই পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী নুর মোহাম্মদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার ১২ হাজার ৮৫৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৪৪২ জন ও মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৪১৩ জন।
রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন জানান, মোট ৩৮টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনটি কেন্দ্র নিয়ে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় দুই প্লাটুন বিজিবি, ২৫০ পুলিশ সদস্য, ৭৬ জন আনসার ও সার্বক্ষণিকভাবে র্যাবের টহল দিচ্ছে।
বারইয়ারহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম খোকন ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী দিদারুল আলম মিয়াজি। সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৪ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭ নারী প্রার্থী। এখানকার ৯টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার ৮ হাজার ৬৫৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৫৯৪ জন ও মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৬১ জন। মোট কেন্দ্র ৯টি।
রিটানিং কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মোট ২৭টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনটি কেন্দ্র নিয়ে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। নিরাপত্তার জন্য এক প্লাটুন বিজিবি, ২৫০ পুলিশ সদস্য, ৭৭ জন আনসার ও সার্বক্ষণিকভাবে র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
চসিকের আলকরণ ওয়ার্ডে ভোট
স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডেও আজ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ওয়ার্ডে ৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম (লাটিম), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইয়াছির আরাফাত (মিষ্টি কুমড়া), বিএনপির মো. দিদারুর রহমান লাভু (রেডিও), হানিফ ভূঁইয়া (ঠেলাগাড়ি) নির্বাচন করছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, আলকরণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৫ হাজার ১৬৮ জন। ৭টি কেন্দ্রে ৪২টি বুথে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ১২৬ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ১২ জন আনসার সদস্য ও র্যাবের টিম আছে। এছাড়াও ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
নদী বন্দর / পিকে