দক্ষিন দিনাজপুরের ৪ উপজেলা হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরে আলু সংরক্ষনের জন্য হিমাগার না থাকায় চাষিরা হতাশায় ভুগছেন। ফলে এ অঞ্চলের উৎপাদিত আম, লিচু ও আলু চাষীরা বাধ্য হয়ে কম দরে বিক্রি করে থাকেন।
৪ উপজেলায় এখনো কোনো হিমাগার স্থাপন হয়নি এ অঞ্চলে এ বছর গাছে গাছে দেখা দিয়েছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হতে পারে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। পক্ষান্তরে হিমাগারের অভাবে উৎপাদিত আলু কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকারী ভাবে এ অঞ্চলে হিমাগার নিমিত হলে কৃষকরা পাবে তাদের পন্যের সঠিক দাম।
আম চাষি আমজাদ হোসেন জানান, এ অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের কাচামাল চাষ হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ আম, লিচু ও আলু উৎপাদন হয়ে থাকে প্রতি বছর। কিন্তু চাষীদের কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। অনেকেই জানেনা কোন কাচামাল ও ফলের জন্য কি পরিমাণ সার ব্যবহার করতে হবে। কোন পোকার জন্য কোন কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। কি করলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। যদিও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতিবছর প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হলেও তাও আবার তা জোটে গুটি কয়েক কৃষকের ভাগ্যে।
আমচাষী সোলায়মান জানান, সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হিমাগার। হিমাগারের অভাবে উৎপাদনকৃত আম সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। হিমাগারের অভাবে আম চাষিরা বাধ্য হয়ে কম দরে বিক্রি করছেন। হিলিতে হিমাগার স্থাপন হলে এবং আম রাখার ব্যবস্থা করা হলে প্রায় সারা বছরই আম পাওয়া যাবে বলে তিনিা জানান।
এ বছরে চার উপজেলায় বিভিন্ন প্রজাতির আলুর উৎপাদন হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। উৎপাদন ভাল হলেও বাজারে ন্যয্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকেরা। কাজেই এ বছরে কষ্ট করে উৎপাদিত আলু বীজ সংরক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি ভাবে স্থপিত হয়নি হিমাগার।
কৃষক মামুনুর রশিদ জানান, তারা বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি এলাকায় বেশি ভাড়া দিয়ে হিমাগারে নিয়ে গিয়ে বীজ সংরক্ষণের জন্য রাখছে।
হিলি বন্দরের কাচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, হিলিতে সরকারী বা বে সরকারী ভাবে হিমাগার নিমান করা হলে আমদানিকৃত কাচামাল সংরক্ষন করা ভালো যেমন হতো তেমনি কৃষকরা ও পেতো পন্যের ন্যায্য সুল্য। তাই তারা দ্রুত হিলি বন্দরে হিমাগার নিমানের দাবি জানান।
নদী বন্দর / পিকে