কর্ণফুলী নদীতে জেলেদের জালে উঠে এসেছে সক্রিয় একটি মর্টারশেল। সেটিকে নিষ্ক্রিয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার (১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকার একটি মাঠে এর বিস্ফোরণ ঘটায় সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম।
এর আগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে মর্টারশেল পাওয়ার তথ্য পেয়ে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, গত শনিবার বিকেলে কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটে করে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের জালে মর্টারশেলটি আটকে যায়। প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের শেলটি তারা লোহার সিলিন্ডার ভেবেছিলেন। ইছানগর এলাকায় একটি ভাঙারির দোকানে শনিবার রাতে তারা সেটি বিক্রি করতে যায়। কিন্তু ভাঙারির দোকানের মালিক দেখেই বুঝতে পারেন যে, সেটি বিস্ফোরক জাতীয় কিছু। তখন তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা ওই দোকানে গিয়ে মর্টারশেলটি উদ্ধার করে ইছানগরে এস আলম বালুর মাঠে নিয়ে যাই। রোববার সিএমপির বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট ও সোয়াট টিম গিয়ে সেটি পরীক্ষা করে। কিন্তু মর্টারশেলটি এত উচ্চক্ষমতার সক্রিয় বিস্ফোরক যে, সেটি তাদের পক্ষে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব ছিল না। সে জন্য আমরা সেনাবাহিনীকে চিঠি দিই। সোমবার সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে টিম এসে সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে।
ওসি বলেন, সম্ভবত মুক্তিযুদ্ধের সময় সেটি নদীতে ফেলা হয়। অথবা এরও আগে হতে পারে। তবে সেটি এতই শক্তিশালী যে বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরণস্থলে প্রায় সাত ফুট গর্ত হয়ে গেছে।
নদী বন্দর / জিকে