দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় একটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় স্বপ্না রানী (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে নিহত গৃহবধূর স্বামী পিন্টু বাবু বাদী হয়ে ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রংপুরে নেয়ার পথে গৃহবধূর স্বপ্না রানীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার (০৫ মার্চ) সকালে নিহত গৃহবধূর স্বামী একই উপজেলার শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের সুধীর চন্দ্রের ছেলে পিন্টু বাবু বাদী হয়ে ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামীরা হলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলার বলগাড়ীগ্রামের আদর্শ হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ডাঃ নুর আলম ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আলী আকবর খান। মামলায় আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ পিন্টু বাবু অভিযোগ করেন, ৪ মার্চ বিকেল পৌনে ৪টায় স্ত্রী স্বপ্না রানীকে নিয়ে আদর্শ হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চেকআপ করাতে আসি। পরবর্তীতে ডাঃ নুর আলম আমাকে গৃহবধূর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দ্রুত সিজার করার জন্য বলেন। সাড়ে ৪টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে একটি ফরমে স্বাক্ষর করে নেয়। এরপর আমি স্ত্রী স্বপ্না রানীকে হাসপাতালের রোগীদের বসার জায়গায় বসিয়ে বলগাড়ী বাজারে মোবাইলে টাকা উঠানোর জন্য যাই।
আমি বাইরে থেকে এসে আমার স্ত্রীকে বসানো জায়গায় খুজে পাই না। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা
আমাকে জানায় যে, আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়েছে।
আমি ডাঃ নুর আলমের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত অপারেশন করা হয়েছে এবং আমার কন্যা সন্তান হয়েছে। তবে আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কা জনক। তাই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। এসময় হাসপাতালের একটি মাইক্রোবাসে আমার স্ত্রীকে উঠিয়ে দিয়ে রংপুরে যেতে বলে।
আমার স্ত্রীর সাথে একজন নার্স দেয়ার জন্য আমি তাদের কাছে অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের সাথে কোন নার্সকে দেয় নাই। সন্ধ্যায় রংপুরে যাওয়ার পথে ধাপেরহাট নামকস্থানে মাইক্রোবাসটি নষ্ট হলে আমরা বিকল্প মাইক্রোবাসে রোগীকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন জানান, শুক্রবার (০৫ মার্চ) সকালে পিন্টু বাবু বাদী হয়ে অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনায় ৩০৪ ক পেনাল কোড আইনে একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নদী বন্দর / জিকে