নাগেশ্বরীতে চার বছরেও পুনর্নির্মাণ হয়নি বন্যায় ভেঙে যাওয়া এলজিইডির আওতাধীন পাটেশ্বরী বিলের ব্রিজ। এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষ। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বন্যায় ভেঙে যাওয়ার পর আর নির্মাণ করা হয়নি। পাটেশ্বরী এলাকার হযরত আলী, সুজিত রায়, আবদুল হালিম, সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটির অভাবে গত চার বছর ধরে পারাপারে চরম দুর্ভোগে আমরা। শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে হেঁটে জমি দিয়ে পারাপার করা গেলেও বর্ষায় তা সম্ভব না।’
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল হক প্রধান বলেন, ১৯৯৩ সালে ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী বিলে পাটেশ্বরী-ধনীটারী সড়কে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মাণ শুরু করে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগে ঐ বছরেই বন্যার পানির তীব্র স্রোতে প্রথম দফায় তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেসে যায় অনেক নির্মাণসামগ্রী। বন্যাপরবর্তী ব্রিজের বাকি কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর বেশ কয়েক বছর বড় কোনো বন্যা না হওয়ায় টিকে যাওয়া সেই ব্রিজে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে পারাপার করে পার্শ্ববর্তী পাটেশ্বরী, ধনিটারী, অন্তাইপাড়, রুইয়ারপাড়, বড়মানী গ্রামের মানুষ ও ধনীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
নেওয়াশী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিপুল কুমার সেন বলেন, ২০১৬ সালে বন্যার পানির তীব্র স্রোতে দ্বিতীয় দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হেলে পড়ে ব্রিজটি। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও মানুষের চলাচল অব্যাহত ছিল। ২০১৭ সালের বন্যায় তা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বর্তমানে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ব্রিজের পাশের জমি দিয়ে শুধুমাত্র হাঁটাপায়ে যাতায়াত সম্ভব হলেও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভরা বর্ষায় সেখান দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি প্রবাহিত হয়। তখন দুর্ভোগ আরো বাড়ে। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা সেখানে নিজেদের খরচে ড্রাম ও বাঁশের চাটাই দিয়ে ভেলা তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত করে। চার বছরেও তা পুনর্নির্মাণ হয়নি।
বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ব্যাপারী বলেন ‘এলাকাবাসীর পারাপারে দুর্ভোগ নিরসনে সেখানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি।’ উপজেলা প্রকৌশলী বাদশাহ আলমগীর জানান, সেখানে একটি ব্রিজ পুনর্নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।’
নদী বন্দর / পিকে