করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামা। শনিবার (৬ মার্চ) ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি। টিকা নেয়ার পর সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর : বিবিসি।
টিকা নিয়ে দালাইলামা বলেন, ‘এটি খুবই কার্যকর, খুব ভালো। ‘কিছু গুরুতর সমস্যা প্রতিরোধে’ সবার টিকা নেয়া উচিত।’ যারা যারা টিকার জন্য উপযুক্ত তাদের টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। টিকা নেয়ার পর চিকিৎসা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
হিমাচলের কাংরা জেলার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. গুরদর্শন গুপ্ত বলেন, ‘টিকা কেন্দ্রে ‘সাধারণ মানুষের মতো করে’ টিকা নেয়ার প্রস্তাব দেন দালাইলামা। নিরপাত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সকালেই তাকে টিকা দেয়ার আয়োজন করি।’
এর আগে গত বছর এই আধ্যাত্মিক নেতা বিবিসিকে বলেন, ‘করোনা মহামারি আমাদের সহনশীল বোধকে আরও জাগ্রত করলো।’
গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তবে শুরুতে শুধু স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর ১ মার্চ থেকে ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের টিকা দেয়া শুরু হয়। জুলাইয়ের মধ্যে ‘অগ্রাধিকার’ ভিত্তিতে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এর আগে গত ১ মার্চ টিকা নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এইমস) হাসপাতালে ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি।
ভারতে দুটি টিকার অনুমতি দেয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর একটি হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এবং আরেকটি হলো ভারতীয় ফার্ম ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন।
করোনা শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯১ জনের। মৃত্যু বিবেচনায় দেশটি বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩৬ জন।
নদী বন্দর / পিকে