মিয়ানমারে সোমবার পুলিশের গুলিতে আরও দু’জন বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই দুই বিক্ষোভকারীর মাথায় গুলি লেগেছিল। এদিকে, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশটির বৃহত্তম ইয়াঙ্গুন শহরের দোকান-পাট, কারখানা এবং ব্যাংকের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলীয় মিতকিনা শহরে দু’জনের মরদেহ রাস্তায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিরা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস এবং গুলি ছুড়েছে পুলিশ। সে সময় বেশ কয়েকজন পুলিশের গুলিতে হতাহত হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, তিনি এবং আরও বেশ কয়েকজন রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের মরদেহ সরিয়েছেন। তিনি জানান, দু’জনকে মাথায় গুলি করা হয় এবং তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এছাড়া পুলিশের গুলিতে আরও তিনজন আহত হয়েছে।
২০ বছর বয়সী ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বেসামরিক লোকজনকে গুলি করে হত্যা করাটা কতটা অমানবিক! শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকার আমাদের আছে।’
গত মাসের ১ তারিখে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তার কয়েকদিন পর থেকেই সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামে দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এদিকে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সামরিক সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে দেশটিতে অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
ইয়াঙ্গুনের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, শহরের সামান্য কিছু চায়ের দোকান খোলা আছে। বড় বড় শপিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন কারখানায় কোনো কাজ হচ্ছে না। সোমবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা আগের দিন ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
নদী বন্দর / জিকে