বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আপত্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেসব কথা বলেছেন তা শুধু নজিরবিহীন নয়, আপত্তিকর, অরুচিকর।’
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথা বাদই দিলাম। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও তিনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন বলে আমি মনে করি না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘২৫ মার্চ যখন দেশবাসী রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছে তখন চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান গুলি করেছেন।’ কত বড়ো ইতিহাস বিকৃতিকারী প্রধানমন্ত্রী তিনি!’
তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ জিয়াউর রহমানের ঘোষণা একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা। রাজনীতিবিদ, গবেষক সবাই একে শুধু স্বীকারই করেন না, তারা এটা শ্রদ্ধার সাথে স্বরণও করেন। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা করেন না। ইতিহাস গবেষণা বিশেষ করে শেখ হাসিনার কেবিনেটের বিশেষ ব্যক্তিদেরও গবেষণায় এবং স্মৃতিচারণে মেজর রফিকুল ইসলামের বইতে, একে খন্দকারের বইতে স্পষ্টভাবে জিয়াউর রহমানের বিষয় উঠে এসেছে। সুতরাং শেখ হাসিনার তো কিছুই বলার নেই। তাই প্রতিদিন বানানো মিথ্যাচার করে এই কথাগুলো বলছেন।’
রিজভী বলেন, ‘এখন সত্যি প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা চায়নি। জিয়াউর রহমান জাঞ্জুয়াকে হত্যা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। সেই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন যারা চট্টগ্রামে ব্যারিকেড দিয়েছেন তাদের নাকি হত্যা করেছেন। জিয়াউর রহমানের শত্রুরাও একথা বলতে পারবেন না। যে ব্যক্তি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কমান্ডারকে হত্যা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন তার প্রতি কিভাবে কলঙ্কের লেপন দিলেন? তাই বুঝতে হবে শেখ হাসিনারাই ছিলেন বৃহত্তর পাকিস্তানের পক্ষে। এজন্য যারা স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে গেলেন, তাদের প্রতি চরম ক্ষোভ। এজন্য জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছেন।’