নারীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, যোগ্যতা দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারলে নারীদের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি আর আসবে না।
বুধবার (১০ মার্চ) সিরডাপ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন স্পিকার।
তিনি বলেন, করোনায় ই-কমার্স বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এতে নারীরা ভালো অবদান রেখেছে। ই-কমার্স আরও নারী বান্ধব করা প্রয়োজন। কর আরোপসহ নানা বিষয়গুলি সহজীকরণ করা দরকার।
ভারতের একটি আঁকা ছবির কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সেখানে একটা ছেলে তার মায়ের সারাদিনের কাজের চিত্র তুলে ধরে। অথচ তার বাবা বলে মা কোনো কাজ করে না। আমরা নানা যায়গায় গিয়ে দেখেছি, গৃহিণীরা নিজেও মনে করেন তিনি কিছু করেন না। স্বামীরাও মনে করে তাই। বিষয়টি কিন্তু উল্টো; কাক ডাকা ভোর থেকে রাত অবধি নারীরা কাজ করেন।
তিনি বলেন, নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টি আইনি কাঠামোয় এবং সংবিধানে সংযোজন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা ও জীবন মান উন্নতকরণে বিশেষ অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, নারীদের ক্ষমতায়ন তৃনমূল থেকে হতে হবে। তৃণমূলে আগে ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য চেয়ারম্যান বা নির্বাচিত সদস্যদের ইচ্ছায় মনোনীত হতো। তারা (পুরুষ) চাইলে কাজ করতে পারতো, না হয় না। অথচ ইউনিয়ন পরিষদে নারীদের নির্বাচন করে তুলে আনার মধ্য দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন করেছেন শেখ হাসিনা। এখন তারা নিজের ও নারীদের দাবি তুলে ধরতে পারছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে মানুষ এক সময় না এক সময় তার অধিকার নিতে পারে। শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে যাওয়া, ক্ষমতায়ন ও অধিকার আদায়ের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে দিয়েছেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, নারী শুধু মেয়ে মানুষ নয়, নারীও মানুষ এটিই হোক আমাদের পরিচয়। এতেই দূর হয়ে যায় অনেক বাধা।
আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ড. সুলতানা শফির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মেহের আফরোজ চুমকির সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন।
নদী বন্দর / এমকে