ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে কত জন কত কিছুই না করে থাকেন! তবুও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসতে চায় না! এজন্য দরকার জীবন-যাপনে পরিবর্তন আনা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
প্রাকৃতিক অনেক ভেষজ উপাদান আছে, যেগুলো শুধু ডায়াবেটিস নয়; এমন দীর্ঘমেয়াদী অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। তেমনই এক ফল হলো পেয়ারা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পেয়ারা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
এ ফলের বীজেও রয়েছে বিশেষ সব পুষ্টিগুণ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক পেয়ারার বীজে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যেভাবে দীর্ঘমেয়াদী রোগ থেকে মুক্তি দেয়-
>> পেয়ারার বীজে পটাশিয়ামের পরিমাণ থাকে কলার তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। যা শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
>> এ ছাড়াও পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকে খুবই কম। ফলে পেয়ারার বীজ অনেকক্ষণ পেটা ভরা রাখে।
>> এ সুপারফুড রান্না করা এবং কাঁচা উভয়ই খাওয়া হয়। পেয়ারায় থাকা পুষ্টিগুণ ত্বক, শরীর এবং চুলের জন্য উপকারী।
>> পেয়ারায় থাকা ফাইবার এবং মিনারেল শরীরকে ফ্যাট জমা করতে দেয় না। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
>> চিকিত্সকরা সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন। পেয়ারার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।
>> কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেয়ারা। এতে থাকা ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এটি হজমে উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। পেয়ারার বীজ সরাসরি গিলে ফেললেও সমস্যা হয় না।
>> পেয়ারা বীজে ডায়েটারি প্রোটিন আছে। এটি চিনি এবং চিনির যৌগ ভাঙতে সহায়তা করে এবং মিষ্টি খাবারগুলো সহজে হজম করে।
>> পেয়ারার বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা দেহে ইনসুলিনের মাত্রা কমায়। পেয়ারা এবং এর বীজ টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভালো।
নদী বন্দর / পিকে