সক্রিয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর (বর্ষা) প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারি বৃষ্টির কবলে পড়েছে। উত্তরের রংপুর বিভাগ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সিলেট বিভাগে বন্যা
অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি। এতে নদীর তীরবর্তী
ভারতের মেঘালয় ও আসামে অব্যাহত বর্ষণের কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এর মধ্যেই সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রংপুর, কুড়িগ্রামসহ বেশ
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এরমধ্যে সিলেটের ৮০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারতের মেঘালয় ও আসামে বৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ
সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। দেশের ১০টি নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার
দু’দিনের টানা বর্ষণে মৌলভীবাজার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে মৌলভীবাজার সদর কুলাউড়া, জুড়ী, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার ১০ গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে গ্রামিণ রাস্তাঘাট।