উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ কিংবা স্প্যানিশ লা লিগা- চলতি মৌসুমের শুরুটা একদমই মনঃপুত ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। চ্যাম্পিয়নস লিগে একের পর এক হোঁচট আর লা লিগায় পয়েন্ট খোয়ানোর উৎসবে মেতেছিল তারা। যা দেখে মনে হচ্ছিল, এবার হয়তো শিরোপার ধারেকাছেও থাকা হবে না রিয়ালের।
অবশেষে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। মঙ্গলবার রাতে অ্যাটলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে তারা জিতেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত দশ দিনের মধ্যে খেলা চার ম্যাচে চতুর্থ জয় এটি রিয়ালের।
মঙ্গলবার নিজেদের ঘরের মাঠে অ্যাটলেটিকো ক্লাবকে স্বাগত জানিয়েছিল রিয়াল। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে জোড়া আক্রমণে শুরুটা দুর্দান্ত করে অ্যাটলেটিকো। কিন্তু ১৩ মিনিটের সময় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় অ্যাটলেটিকো মিডফিল্ডার রাউল গার্সিয়া। ফলে ম্যাচের শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হয় তারা।
পঞ্চম মিনিটে মাঝমাঠে ফাউলের পর ১৩ মিনিটের সময় রিয়ালের ডি-বক্সের বাইরে অহেতুক টনি ক্রুসকে পেছন থেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন গার্সিয়া। তার এমন কাণ্ডে খানিক কোণঠাসা হয়ে পড়ে অ্যাটলেটিকো। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিটে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা।
প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে, অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে দলকে এগিয়ে দেন টনি ক্রুস। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এ জার্মান মিডফিল্ডার। ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে সেই গোল শোধ দিতে সময় নেয়নি অ্যাটলেটিকো। ম্যাচের ৫২ মিনিটের সময় গোল করেন অ্যান্ডার কাপা, ম্যাচে আসে সমতা। পরে ৭৪ মিনিটের সময় রিয়ালকে এগিয়ে দেন করিম বেনজেমা। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলের ৩-১ জয় নিশ্চিত করেন এ ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এ জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছে রিয়াল। এপর্যন্ত খেলা ১৩ ম্যাচে ৮ জয় ও ২ ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ২৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাটলেটিকো ক্লাবের অবস্থান ১৩তম। শীর্ষে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট।
নদী বন্দর / জিকে