কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর বাজারে দেখা মিললো ১১১ কেজি ওজনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দুষ্প্রাপ্য মারলিন ফিশ।
এমন খবরে শনিবার (২০ মার্চ) বিকেল থেকে পাকুন্দিয়ার মাছ বাজারে মাছের ভাগা নিতে ভোজন রসিক ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
স্বপন মিয়া নামের স্থানীয় এক জেলে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে মাছটি সংগ্রহ করেছেন। তিনি জানান, এ মাছটি চট্টগ্রাম থেকে ওখানকার এক আড়তে আনা হয়েছিল। ১১১ কেজি ওজনের এ মারলিন ফিশ পাকুন্দিয়া বাজারে ৫০ ভাগা করা হয়। এরপর প্রতি ভাগা ১ হাজার টাকা করে ৫০ জন ভোজন রসিক ক্রেতার কাছে বিক্রি করেন এই মাছ ব্যবসায়ী।
পাকুন্দিয়া বাজারে এ মারলিন ফিশের ভাগা সংগ্রহে এবং এক নজর দেখতে ভিড় জমেছিল বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য কৌতূহলী নারী-পুরুষের।
এ ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে সাফি সুমন নামে এক লন্ডন প্রবাসী এক বাংলাদেশি জানান, সেখানে মারলিন ফিশ প্রতি কেজি ৫০ হাজার টাকা করে বিক্রি হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা মৎস কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল জানান, মাছটি বাজারে কিভাবে এলো তার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য এ মাছ বিরল প্রজাতির। তবে এভাবে বাজারে বিক্রি করা কতটা আইনসম্মত বা এ মাছ কতটা খাওয়ার উপযোগী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ মাছটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় শীতল অঞ্চলের মাছ। এ মাছটি ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এছাড়া জল থেকে ৭০/৮০ ফুট ওপরে পর্যন্ত ঝাঁপ দিতে পারে। বঙ্গোপসাগর কিংবা এ অঞ্চলে এ মাছটির উপস্থিতি বিস্ময়কর বটে।
এই মাছটির এমন দক্ষতার কারণে আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয় এবং মাছ শিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের খেলায়ও অংশ নিয়ে থাকে মাছটি। মারলিন ফিশ- এ ভিটামিন ও প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস থাকায় মাছটি মহামূল্যবান মাছ হিসাবে অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে।
কিন্তু এ মাছটির আসল পরিচয় না জানায় স্থানীয়ভাবে জেলেরা মারলিন ফিশকে পাখি মাছ হিসাবে চিনেন। এছাড়া আনুপাতিক হারে খুবই কম মূল্যে বিক্রি করেন।
নদী বন্দর / এমকে