নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কাটসিনা অঙ্গরাজ্যের একটি বালক স্কুলের কয়েকশ ছাত্রদের অপহরণের দায় স্বীকার করেছে দেশটির সন্ত্রাসী সংগঠন বোকো হারাম। অডিও বার্তায় নিজেকে বোকো হারামের প্রধান হিসেবে উল্লেখ করে এক ব্যক্তি এ দায় স্বীকার করেন। খবর আল জাজিরার।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনো পরিষ্কার নয়। নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল জন এনেনচে সোমবার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে জানান, ৩৩৩ ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর কানকারা শহরের একটি সরকারি বিজ্ঞান মাধ্যমিক স্কুলে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত বন্দুকধারীরা গোলাগুলি চালিয়ে ছাত্রদের অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বোকো হারামের অডিও বার্তায় বলা হয়, ‘আমি আবুবাকার শেকাউ এবং কাটসিনার অপহরণের পেছনে রয়েছে আমাদের ভাইয়েরা।’
ইসলামিক স্টেট ইন ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স (ইসওয়াপ) বা বোকো হারাম নামে পরিচিত জঙ্গী গোষ্ঠীটি গত কয়েক বছর ধরে নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্ব অঞ্চলসহ প্রতিবেশি ক্যামেরন, চাদ ও নাইজারে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বোকো হারাম ২০১৪ সালে চিবক শহরের একটি বালিকা স্কুল থেকে কয়েকশ ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল।
ভিডিও বার্তার ব্যক্তি অপহরণের পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের কোনো ভিডিও ফুটেজও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নাইজেরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য আসেনি।
এর আগে সোমবার কাটসিনার গভর্নর আমিনু বেল্লো মাসারি বলেন, অপহরণকারীরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনতে কথাবার্তা চলছে।’ যদিও অপহরণকারীদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে গত শনিবার নাইজেরিয়ার পুলিশ, এয়ারফোর্স ও সামরিক বাহিনী এক যৌথ অভিযান শুরু করেছে। সোমবার সামরিক বাহিনী জানায়, তারা অপহরণকারীদের গোপন আশ্রয়ের খোঁজ পেয়েছেন।
রবিবার অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যরা স্কুলে জড়ো হয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে দাবি জানান।
নদী বন্দর / জিকে