প্রযুক্তির কল্যাণে গত কয়েক দশকে আধুনিক জীবন হয়ে উঠেছে গতিময়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সকল স্তরের মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা তাদের লাইফস্টাইল এবং পছন্দের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যতিক্রম কিছু চায়। স্মার্টফোন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারা যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখে তার মধ্যে অন্যতম ফোনটির গেমিং সুবিধা। তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমির নারজো সিরিজের নতুন সংযোজন নারজো ৩০এ। এতে এমন দুর্দান্ত সব ফিচার রয়েছে যেগুলো গেমপ্রিয় যে কাউকে সহজে আকৃষ্ট করবে।
৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজযুক্ত নারজো ৩০এ লেজার ব্ল্যাক এবং লেজার ব্লু রঙে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১২ হাজার ৯৯০ টাকায়। এই বাজারদরে এটা এখন পর্যন্ত দেশের বাজারের সেরা গেমিং ফোন। নিচে ফোনটির ফিচার ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হলো।
দুর্দান্ত গেমিংয়ের জন্য শক্তিশালী প্রসেসর
হেভি গেমিংয়ে পারদর্শী এবং সকল প্রয়োজনীয় ফিচারসমৃদ্ধ নারজো ৩০এ-কে বলা যায় বাজারের ‘গেমিং বিস্ট’। স্মার্টফোনে যে দুটো জিনিস একজন গেমিং ফ্যান চায় সেগুলো হলো- শক্তিশালী প্রসেসর আর বিশাল স্ক্রিন। উভয়ই রয়েছে নারজো ৩০এ-তে, যার ফলে দীর্ঘ সময় বিরামহীনভাবে গেম খেলা যায়।
শক্তিশালী হেলিও জি৮৫ প্রসেসরের সাথে নারজো ৩০এ-তে সর্বোচ্চ ২.০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত অক্টাকোর রয়েছে। এর সাথে শক্তিশালী এআরএম মালি-জি৫২ জিপিইউ দিবে এক ব্যতিক্রমী গেমিং অভিজ্ঞতা।
আপগ্রেডেড হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের ফলে ফোনের তাপমাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ফলে ব্যবহারকারীরা হেভি গেমিং উপভোগ করতে পারবেন অনায়াসে। নারজো ৩০এ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ খেলা যাবে পাবজি, কল অব ডিউটি, এমনকি অ্যাসফাল্ট নাইনের মতো গেম কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। এছাড়া, নারজো ৩০এ স্মার্টফোনটির ৬.৫ ইঞ্চি ২০:৯ স্ক্রিন দিবে বিশাল ফিল্ড অব ভিউ, যার ফলে বড় স্ক্রিনে আরও প্রশস্ত ফিল্ড অব ভিউ’তে নিরবচ্ছিন্ন গেমিং অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
সুবিশাল ব্যাটারি লাইফের সঙ্গে ৪৬ দিনের স্ট্যান্ডবাই
নারজো ৩০এ এর ৬ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকতে পারে ৪৬ দিন, আর ফোনটির ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জের ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ের ফলে ফোন চার্জ হয় অবিশ্বাস্য গতিতে। এতে রয়েছে অ্যাপ কুইক ফ্রিজ ও স্ক্রিন ব্যাটারি অপটিমাইজেশনের মতো দারুণ কিছু ফিচার। কম ব্যবহৃত অ্যাপ ফ্রিজ করে দেবে অ্যাপ কুইক ফ্রিজ ফিচার এবং স্ক্রিন ব্যাটারি অপটিমাইজেশন ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়াতে ডিসপ্লে এফেক্ট কিছুটা কমিয়ে আনবে, যা ব্যবহারকারী বুঝতেও পারবেন না।
এছাড়া, সুপার সেভিং মোডে ব্যবহারকারীরা দীর্ঘক্ষণ ব্যাটারি ব্যবহারে সবচেয়ে ব্যবহৃত ৬টি অ্যাপ নির্বাচন করতে পারবেন। এ মোড চালু করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা চমকপ্রদ সব জিনিস করতে পারবেন, যেমন- ৮০ মিনিট হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন মাত্র ৫ শতাংশ ব্যাটারি ব্যবহারের মাধ্যমে।
ডায়াগোনাল স্ট্রাইপ ডিজাইনের সাথে রিয়েলমি ইউআই
অ্যান্ড্রয়েড ১০-এর ভিত্তিতে তৈরি রিয়েলমি ইউআই তৈরি করা হয়েছে তরুণ ক্রেতাদের পছন্দ ও নান্দনিকতার কথা বিবেচনা করে। প্রচলিত ডিজাইনের বাইরে রিয়েলমি নারজো ৩০এ-তে রয়েছে ডায়াগোনাল স্ট্রাইপ ডিজাইন, যা একটি স্টাইলিশ লুক দেয়।
এর সাথে থ্রি-ফিঙ্গার সিলেক্টেড স্ক্রিনশট, ডুয়াল মোড মিউজিক শেয়ার এবং ইনস্ট্যান্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর তরুণ ব্যবহারকারীদের মুগ্ধ করে। রঙের বিবেচনায় রিয়েলমি ইউআই অথেনটিক কালার স্কিম তৈরিতে ব্যবহার করেছে হাই-স্যাচুরেশন ও হাই-ব্রাইটনেস কালার, যা ব্যবহারকারীকে দিবে প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা। স্ক্রিন ফ্লুয়েন্সি উন্নত করতে এতে রয়েছে অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম অ্যানিমেশন ইঞ্জিন।
এআই ডুয়াল ক্যামেরায় অসাধারণ ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা
নারজো ৩০এ-তে রয়েছে ১৩ মেগা পিক্সেল ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা এবং ৮ মেগা পিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। এতে আরও রয়েছে সুপার নাইটস্কেপ মোড, নাইট ফিল্টার ও ক্রোমা বুস্ট। এসব ফিচারের সমন্বয় স্মার্টফোনপ্রেমীদের ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।
স্মার্টফোনটির ১৩ মেগা পিক্সেল রিয়ার ক্যামেরার সাথে ২.২ অ্যাপারচারের লেন্স রাতের বেলা ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করবে অতিরিক্ত আলো আর সুপার নাইটস্কেপ মোডে ট্রাইপড ছাড়াই তোলা যাবে ঝকঝকে ছবি। নারজো ৩০এ নিয়ে এসেছে নাইট ফিল্টার— সাইবারপাঙ্ক, ফ্লেমিঙ্গো ও মডার্ন গোল্ড, যা আলাদাভাবেই স্মার্টফোনের ছবিকে দিবে নতুন মাত্রা।
এছাড়া, ক্রোমা বুস্ট ফিচার দেবে আরও উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় ছবি। ডিভাইসটির ৮ মেগা পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকছে এআই বিউটি, পোর্ট্রেট মোডসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় ফিচার।
নদী বন্দর / এমকে