রানপ্রসবা ভেন্যু হিসেবে বিশেষ সুনাম রয়েছে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের। তার সঙ্গে আবার যখন যোগ হলো বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়া, তখন যেন রানের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। আর তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সামনে রীতিমতো হিমালয়সম লক্ষ্য ছুড়ে দিল টিম সাউদির দল।
মাত্র ১৯ রানেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন ফিন অ্যালেন, তা না হলেও ২৯ রানে আবার আউট করার সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনোটিই তালুবন্দি করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথমে রুবেল হোসেন, পরে ছাড়েন সৌম্য সরকার। পরে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আবারও আকাশে তুলেছিলেন অ্যালেন, সেটিও রাখতে পারেননি সৌম্য।
এতগুলো জীবন পাওয়ার পর হলো যাও হওয়ার তাই। বৃষ্টির কারণে ১০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে নিজেদের ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সফরের একমাত্র জয়ের জন্য এখন ১০ ওভারে এখন ১৪২ রান করতে হবে বাংলাদেশ দলকে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে টস জিতেছিলেন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করতে নামা লিটন দাস। প্রকৃতির কথা মাথায় রেখেই আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লিটন। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেন।
নাসুম আহমেদের করা প্রথম ওভারে ১ ছয়ের মারে ৯ রান নেয় নিউজিল্যান্ড। পুরো ইনিংসে এটিই ছিল সবচেয়ে কম রানের ওভার। এরপর বাকি নয় ওভার থেকে যথাক্রমে ১৪, ২০, ১২, ১৪, ২১, ১৯, ১৩, ৯ ও ১০ রান তুলে নেয় কিউইরা। দুই ওভারে সবচেয়ে কম ২১ রান দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
দুই জীবন পেয়ে মাত্র ১৮ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন অ্যালেন। যা কি না নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। পঞ্চাশ পেরুনোর ব্যক্তিগত ৫০ ও ৬৯ রানে আবারও জীবন পান অ্যালেন। তার চতুর্থ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি শরিফুল।
তবে চতুর্থ জীবন পাওয়ার পর আর মাত্র ২ রান করতে পারেন অ্যালেন। ইনিংসের শেষ ওভারে শর্ট থার্ড ম্যান থেকে পেছন দিকে দৌড়ে ভালো ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৭১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ১৮ বছর বয়সী অ্যালেন।
তার সঙ্গে ইনিংস সূচনা করতে নেমে মাত্র ৫.৪ ওভারে ৮৫ রানের জুটি গড়েন গাপটিল। শেখ মেহেদি হাসানের বলে আফিফ হোসেনের হাতে ধরা পড়ার আগে গাপটিল ১ চার ও ৫ ছয়ের মারে ১৯ বলে করেন ৪৪ রান। আগের ম্যাচের নায়ক গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১৪ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২ ওভার করে হাত ঘুরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও শেখ মেহেদি হাসান। যেখানে তাসকিন ২৪, নাসুম ২৯, শরিফুল ২১, রুবেল ৩৩ ও মেহেদি খরচ করেছেন ৩৪ রান। বিপরীতে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, মেহেদি ও শরিফুল।
নদী বন্দর / জিকে