শিল্প-কারখানার তরল বর্জ্যে চরম দূষণের শিকার গাজীপুরের শীতলক্ষ্যা নদী। অনেক জায়গায় পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। দখল-দূষণে দুর্ভোগে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিগগিরই ড্রেজিং ও দূষণমুক্ত করা হবে শীতলক্ষ্যা।
কাপাসিয়ায় ভারী কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকলেও উজানের শিল্প-কারখানার তরল বর্জ্য মিশে দূষিত হচ্ছে শীতলক্ষ্যার পানি।
পানির রঙ কালো ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা ব্যবহার করতে পারছেন না নদীপাড়ের মানুষ। মরে যাচ্ছে মাছ, কোথাও আবার পলি পড়ে ভরাট হচ্ছে নদী।
স্থানীয়রা জানান, আমাদের পশ্চিমের শ্রীপুর, গফরগাঁও ওই এলাকার মিল-ফ্যাক্টরি এবং ইন্ডাস্ট্রি আছে ওদের বর্জে্য এই পানি দূষণ হয়ে গেছে। আশপাশের ময়লা-আবর্জনা এসে নদীতে পড়ছে এই কারণে নদীর অবস্থা এখন খুবই খারাপ। শীতলক্ষ্যা নদীর গভীরতা বলতে এখন কিছুই নেই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, এই শীতলক্ষ্যা নদীর পানি যাতে দূষণমুক্ত থাকে।
শীতলক্ষ্যাকে দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ ইসমত আরা বলেন, ভালুকা বা ময়মনসিংহ এলাকার কিছু বর্জ্য বছরের বিশেষ সময়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ছেড়ে দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুস সালাম সরকার বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলা কার্যালয় কোনভাবেই যেন শীতলক্ষ্যা নদী দূষণ না হয় সে ব্যাপারে অতন্ত তৎপর রয়েছে এবং মনিটরিং করছে। অন্য কোন এলাকা থেকে যদি আসে সে এলাকায় আমাদের যে অফিস রয়েছে আমরা অবশ্যই সে এলাকার সঙ্গে কথা বলবো।
শিগগিরই এই আশ্বাসের প্রতিফলন দেখতে চান শীতলক্ষ্যা পাড়ের বাসিন্দারা।
নদী বন্দর / পিকে