দেশজুড়ে ‘কঠোর লকডাউনের’ কারণে বাইরের জেলার ব্যবসায়ীরা নাটোরে আসতে না পারায় এক সপ্তাহের ব্যাবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে আরো ২ টাকা কমেছে। অন্যবছরের চেয়ে এবার উৎপাদন খরচ বেশি হলেও পেঁয়াজের নায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা। আর নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করে কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কেনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
কৃষি বিপণন অধিদফতর গত ১২ এপ্রিল পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করলেও ৮ দিনেও নাটোরের হাট-বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। উপরন্ত এই ঘোষণার পর দুই দফায় নাটোরে কমেছে পেঁয়াজের দাম। চলতি বছর বীজ ও চারার অতিরিক্ত দাম থাকায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ টাকা। আর গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি কেজিতে ২ টাকা কমে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৭ টাকায়।
বাজারে নায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করে কৃষি বিপণন অধিদফতরের বেধে দেওয়া দামে সরকারকে তাদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কেনার জন্য দাবি জানান কৃষকরা। আর কৃষকদের কাছ থেকে কেনা পেঁয়াজ টিসিাবির মাধ্যমে বিক্রির দাবি জানান তারা।
বাইরের জেলার পাইকারি ক্রেতারা নাটোরে না আসায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছে। আর পেঁয়াজের চাহিদা কমে আসায় দাম কমছে বলে দাবি ব্যবাসায়ী ও আড়তদারদের।
চলতি বছর নাটোর জেলায় প্রায় ৪ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে বলে জেলা কৃষি অধিদফত সূত্রে জানা গেছে।
নদী বন্দর / জিকে