1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মোহনপুরে ধান-আমচাষের বদলে পানচাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা - Nadibandar.com
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৩৮ বার পঠিত

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় গত পাঁচ বছরে পানচাষের আওতায় এসেছে ৩৪০ হেক্টর জমি। কৃষি অধিদফতরের তথ্য বলছে, জেলার মোহনপুর উপজেলায় প্রতি বছর এভাবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে পানচাষের আওতায় আসা জমির পরিমাণ বাড়ছে। সবজি, ধান ও আমচাষের বদলে পানচাষ করছেন কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ৮৪০ হেক্টর জমিতে পানচাষ হয়। ২০২১ সালে সেই জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮০ হেক্টরে। এই হিসাবে গত পাঁচ বছরে মোহনপুরে পানচাষের আওতায় এসেছে মোট ৩৪০ হেক্টর জমি। বর্তমানে উপজেলায় পানের বরজের সংখ্যা ১২ হাজার ৭২০টি। পানচাষ সংশ্লিষ্ট লোকের সংখ্যা ১৫ হাজার ৮০০ জন।

দুই বছর ধরে আমের ভালো দাম পাননি। তাই এবছর এক বিঘা জমির আমগাছ কেটে পানের বরজ তৈরি করেছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার নন্দনহাট গ্রামের বাসিন্দা সোলায়মান আলী। গত পাঁচ বছরে পানচাষের আওতায় এনেছেন নিজের মোট আড়াই বিঘা জমি।

পানচাষে আসার কারণ সম্পর্কে সোলায়মান আলী বলেন, সবজি চাষ করলে একজন কৃষক মৌসুমওয়ারি টাকাটা পান। এখন এলাকায় কোনো সবজি নেই। যখন সবজির মৌসুম আসবে তখন কৃষকের হাতে টাকা আসবে। কিন্তু পানচাষের কারণে সারাবছর টাকা পান কৃষক। একই সঙ্গে দামও অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভালো। তাই সবজি ও আমচাষ ছেড়ে পানচাষে ঝঁকেছেন তিনি।

jagonews24

এদিকে ১০ কাঠা জমি পানচাষের আওতায় এনেছেন উপজেলার মৌগাছি এলাকার কৃষক মাহাবুল ইসলাম বাবু। তিনি জানান, যেসব জমি পানচাষের আওতায় এনেছেন সেই জমিতে আগে আলু, পটল, মরিচ, বেগুন এগুলো চাষ করতেন।

পানচাষের দিকে ঝোঁক বাড়ার কারণ সম্পর্কে মোহনপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, এক বিঘা জমিতে পানচাষ করতে গড়ে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়। আয় হয় গড়ে তিন লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকার মতো। বছরপ্রতি গড়ে এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। যেখানে অন্যান্য ফসলে লাভের পরিমাণটা কম। সে কারণে কৃষক যেখানে লাভ পাচ্ছেন সেদিকে ঝুঁকছেন। কৃষকরা এখন একজন ‘ইকোনোমিস্ট (অর্থনীতিবিদ)’ হয়ে উঠছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নিরাপদ ও রফতানিযোগ্য পান উৎপাদনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, পান রফতানি করতে পারবে এমন নিশ্চয়তা এই এলাকার কৃষকদের কাছে এখনও নেই। নিরাপদ পান উৎপাদন করতে গেলে পান উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাবে। তবে রফতানিকারকের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগই নেই। কৃষকদের রফতানি নিশ্চয়তা দিতে না পারলে তারা খরচ বাড়াতে চাইবেন না। যদি নিশ্চয়তা পান তাহলে রফতানিযোগ্য পান উৎপাদনে এগিয়ে আসবেন বলে জানান তিনি।

নদী বন্দর / এমকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com