ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। যা কি না একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের। এছাড়া এসময়ের মাঝে মারা গেছেন অন্তত ২ হাজার ৮১২ জন। সবমিলিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ ছুঁইছুঁই।
করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও দিব্যি চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের খেলা। এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতাররা।
তবে এই অবস্থার মধ্যেও আইপিএল চালিয়ে নেয়ার পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম অধিনায়ক রিকি পন্টিং। যিনি বর্তমানে আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিট্যালসের হেড কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। তার মতে, মানুষের মনে আনন্দের যোগান দেয়ার উপলক্ষ্য হিসেবে হলেও আইপিএল চালিয়ে নেয়া উচিত।
পন্টিং নিজেও ওয়াকিবহাল রয়েছেন ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে। পুরো অবস্থাকে তিনি উল্লেখ করেছেন মারাত্মক হিসেবে। এমতাবস্থায় দলের ভারতীয় খেলোয়াড়দের মানসিক সহায়তা দেয়ার কাজটিও করে যাচ্ছেন পন্টিং।
দিল্লি ক্যাপিট্যালসের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘আইপিএলে এখন এখানের চেয়ে বাইরে কী হচ্ছে, সেটাই বেশি আলোচিত। বায়ো বাবলে থাকায় আমরা হয়তো এখন দেশের সবচেয়ে নিরাপদ মানুষদের মধ্যে অন্যতম। আমি প্রতিদিন সকালেই ছেলেদের জিজ্ঞেস করছি, বাইরের কী খবর? সবার পরিবার কেমন আছে? সবাই ভালো আছে কি না?’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা শুধু নিজেদের কথা নয়, পরিবারের সদস্যদের কথাও ভাবছি। আমাদের বাইরের বিষয়েও কথা বলতে হবে, বাইরে কী হচ্ছে তাও জানতে হবে। কারণ পরিস্থিতি এখন অনেক মারাত্মক অবস্থায় আছে।’
‘পরিবারের থেকে আলাদা থাকা খেলোয়াড়দের জন্য খুবই কঠিন। আমি নিজেকে এই জায়গায় রেখে চিন্তাও করতে পারি না। যেসব খেলোয়াড় চেন্নাইয়ে বসবাস করে, তারা কিন্তু এখন নিজের শহরেই। কিন্তু পরিবারের কাউকে দেখতে পারছে না। এটা সত্যিই অনেক কঠিন বিষয়।’
‘তাই আমরা যত নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব, ততই ভালো লাগবে। আমরা যারা ভারতের নই, তারা স্থানীয়দের সঙ্গে বেশি বেশি কথা বলা দরকার। এটাই ভালো হবে। আমরা এখন আশা করছি সবাই নিরাপদ থাকবে। বাইরে থেকে যত বেশি সম্ভব, নিজেদের পরিবারের খেয়াল রাখার চেষ্টা করছে ক্রিকেটাররা।’
তবে অবস্থা যেমনই হোক না কেন, খেলার সঙ্গে জড়িত সবার কাছে একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা চেয়েছেন পন্টিং; তা হলো আইপিএলে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মান। যাতে করে, টিভি দর্শকরা খেলার মাধ্যমে খানিক আনন্দ পেতে পারে।
পন্টিংয়ের ভাষ্য, ‘দেশটি (ভারত) এখন যত কঠিন পরিস্থিতিতেই থাক, আমি মনে করি, এখনও মানুষের মনে আনন্দের যোগান দিতে পারে ক্রিকেটার। তাই আমরা কোচ-ক্রিকেটারদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, মাঠে সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেয়া, যা দেখতে ভালোবাসবে মানুষ।’
নদী বন্দর / এমকে