সাগরের ঢেউ, সবুজ বন, লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখির জলকেলি উপভোগের জন্য প্রকৃতিপ্রেমীদের ডাকছে ভোলার চর কুকরী-মুকরী। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের দর্শনীয় স্থানগুলো উপভোগ ও স্বল্প ব্যয়ে থাকা-খাওয়ার জন্য বেসরকারি উদ্যোগে চালু করা হয়েছে হোম স্টে সার্ভিস আর ভিলেজ রেস্টুরেন্ট। দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত এপ্রিল থেকে চার মাস পর্যটকশূন্য ছিল ভোলার সাগরকূলের চর কুকরী-মুকরী। দীর্ঘ বিরতিতে ম্যানগ্রোভ বাগানের ২৭২ প্রজাতির গাছ-গাছালির সবুজে ছেয়ে গেছে সাগরকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা।
সাগরের অসীম জলরাশি আর সবুজের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেপ্টেম্বর থেকেই দেশি পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। শীতে বেশি পর্যটক বরণ করতে তাই ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বনের মধ্যে সরু খালগুলোতে বোট রাইডিং, গভীর বনে ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকেদের জন্য। সব শ্রেণির পর্যটকদের জন্য পিকেএসএফের অর্থায়নে গড়ে তোলা হয়েছে হোম স্টে সার্ভিস ও ভিলেজ রেস্টুরেন্ট। যেখানে রয়েছে স্বল্প ব্যয়ে থাকা খাওয়ার সুবিধা।
পর্যটন কেন্দ্রকে আকর্ষণীয় আর গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করছে পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এ কথা জানান সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন।
পর্যটনের বিকাশে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চর কুকরী-মুকরীর চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন।
আর ইকো ট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা জানান পল্লী সহায়ক ফাউন্ডেশনের-পিকেএসএফের মহাব্যবস্থাপক ও সমন্বয়কারী ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পর্যটনশিল্প এখানে আমরা জিও-এনজিওদের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা পর্যটনশিল্পকে উন্নত করব। যার ফলে দারিদ্র্যবিমোচন হবে।
২০১৯ সালে ৩৪ হাজার পর্যটক এসেছিলেন চর কুকরীতে। আর ২০২০ সালে করোনার মধ্যেও দেড় লক্ষাধিক পর্যটক কুকরী-মুকরী ভ্রমণ করেছেন বলে জানা গেছে।
নদী বন্দর / জিকে