পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বারবার সতর্ক করার পরও যারা নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে এখন থেকে আর কোনো ছাড় থাকবে না। যৌথবাহিনীকে নিয়ে অচিরেই কঠোর অভিযান শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ ও বাণিজ্যিক পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। এ ব্যাপারে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকার এবং সাধারণ জনগণের সমন্বয়ে একটি নিরবচ্ছিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মাহাবুবুর রহমান, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, র্যাবের এডিজি (অপারেশনস) কর্নেল ইফতেখার আহমেদ, আজিমপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ-উজ-জামান খান, র্যাব-১০ এর কমান্ডার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ এবং ডিএমপির লালবাগ জোনের ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
অপরদিকে, আজ কিশোরগঞ্জ জেলায় একটি মোবাইল কোর্ট অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের দায়ে একটি মামলা করা হয় এবং পলিথিন জব্দ করা হয়। একইদিনে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় একটি পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং বৈদ্যুতিক মিটার খুলে জব্দ করা হয়।
নদীবন্দর/জেএস