পাঞ্জাব কিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে দিল্লি ক্যাপিট্যালস। আট ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে তারা। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঞ্জাবের অবস্থান ষষ্ঠ।
আহমেদাবাদের মোতেরায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পায় পাঞ্জাব। জবাবে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।
রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির পক্ষে ৪৭ বলে ৬৯ রান করা অপরাজিত থাকে ফর্মে থাকা ওপেনার শিখর ধাওয়ান। তার ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ২ ছয়ের মার। শেষদিকে ৪ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করেন শিমরন হেটমায়ার।
এছাড়া ডানহাতি ওপেনার পৃথ্বি শ মাত্র ২২ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ের মারে করেন ৩৯ রান। স্টিভেন স্মিথ ২২ বলে ২৪ ও অধিনায়ক রিশাভ প্যান্ট আউট হন ১১ বলে ১৪ রান করে। ম্যাচটি দিল্লি জিতলেও, ম্যাচসেরার পুরস্কার দেয়া হয়েছে পাঞ্জাবের মায়াঙ্ক আগাওয়ারলকে।
কেননা ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ৫৮ বলে গড়া হার না মানা ৯৯ রানের ইনিংসে ভর করেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৬৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় পাঞ্জাব।
তাদের ইনিংসের যখন তিন বল বাকি, আগারওয়ালের তখন ৮৫ রান। সেঞ্চুরি পেতে করতে হবে প্রায় অসাধ্য সাধন। চেষ্টাটা ঠিকই করলেন আগারওয়াল। আভেশ খানের ওভারটির চতুর্থ বলে চার মেরে পঞ্চমটিকে বানালেন ছক্কা। শেষ বলে আরেকটা ছক্কা হলেই হয়ে যেতো। কিন্তু আগারওয়ালকে বাউন্ডারিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।
৫৮ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন আগারওয়াল। যা কিনা আইপিএলে নেতৃত্বের অভিষেকে কোনো ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সেরা ইনিংস। প্রথমটিও (১১৯ রান) এই আসরেই করেছেন সঞ্জু স্যামসন, রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক হিসেবে।
এক আগারওয়াল ছাড়া পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি ডেভিড মালানের, কিন্তু সেটা বেশ ধীরগতির। ২৬ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ৯ বলে ১৩ রান আসে ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে।
প্রভুসিমরান সিং ১৬ বল খেলে করেন মাত্র ১২। বাকিদের কেউ দুই অংকও ছুঁতে পারেননি। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগারওয়াল খেলে না গেলে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হতো না পাঞ্জাবের।
দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল কাগিসো রাবাদা। ৩৬ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন এই পেসার।
নদী বন্দর / এমকে