করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আরও উঁচুতে উঠল ভারতে। বুধবার আক্রান্ত-মৃত্যুর নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশটি। এদিন সেখানে নতুন করে ৪ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা এর আগের সর্বোচ্চ রেকর্ডের চেয়ে অন্তত ১০ হাজার বেশি। এছাড়া মারা গেছেন প্রায় চার হাজার রোগী।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, বুধবার ভারতে নতুন করে ৪ লাখ ১২ হাজার ৭৮৪ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা গোটা বিশ্বের মধ্যে কোনো দেশে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটিও অবশ্য ভারতেরই ছিল। গত ৩০ এপ্রিল বিশ্বে প্রথমবারের মতো একদিনে চার লক্ষাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছিল সেখানে।
আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ভারতে গত কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে করোনা টেস্টের সংখ্যা কমা সত্ত্বেও বুধবার সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে গত ৩০ এপ্রিল রেকর্ড রোগী শনাক্তের দিন সর্বোচ্চ ১৯ লাখ ৪০ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার এর পরিমাণ প্রায় তিন লাখ কমে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৬০ হাজারে। আর গত মঙ্গলবার তা কমে হয়েছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার।
ফলশ্রুতিতে গত তিনদিনে টেস্টে পজিটিভ শনাক্তের হার (টিপিআর) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ, যা গত সপ্তাহের একই তিনদিনের তুলনায় অন্তত দুই শতাংশ পয়েন্ট বেশি। কোনো অঞ্চলে টিপিআর বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, সেখানে সংক্রমণের হার অনেক বেশি এবং এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ওই অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাবে অনেক রোগী অশনাক্ত থেকে যাচ্ছেন।
বুধবার ভারতে করোনায় মারা গেছেন অন্তত ৩ হাজার ৯৮০ জন। এদিন দেশটির পাঁচটি রাজ্যে একদিনে রেকর্ড মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে মারা গেছেন ৩৫৭ জন, কর্ণাটকে ৩৪৬ জন, পাঞ্জাবে ১৮২ জন, হরিয়ানায় ১৮১ জন এবং তামিলনাড়ুতে ১৬৭ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯২০ জন।
বুধবার ভারতের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে একদিনে ৫০ হাজার রোগী শনাক্তের রেকর্ড গড়েছে কর্ণাটক। এর আগে শুধু মহারাষ্ট্রেই একদিনে এত বেশি রোগী পাওয়া গিয়েছিল।
নদী বন্দর / এমকে