আধিপত্য বিস্তারে মাদারীপুরের শিবচরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় মাহবুবুর রহমান (৩৮), এসকান বেপারী (৪০), কাউসার বেপারী (৩৭), আ. রাজ্জাক মাদবর (৬৫), ওবায়দুল বেপারীসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে শিবচরের কুতুবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মাদবর ও সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বেপারীর মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে দু’জনেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের আকনকান্দি গ্রামের একটি রাস্তায় আতিক মাদবরের সমর্থক মিরাজ আকন ও মনোয়ার বেপারীর সমর্থক তুষার বেপারীর সঙ্গে ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তুষার বেপারী মিরাজ আকনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুতুবপুর বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মনোয়ার বেপারীর সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য আ. সালাম মাদবরকে (৬৫) তার দোকানে ঢুকে আতিক মাদবরের সমর্থক কাউসার বেপারীসহ কয়েকজন মিলে মারধর করেন।
এরই জেরে পরে রাত ৮টায় সাহেব বাজারে মনোয়ার বেপারীর বাড়ি সংলগ্ন আতিক মাদবরের সমর্থক দুলাল বেপারীর একটি দোকানে মানজার বেপারীর নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয়। এসময় দুলাল বেপারীসহ আতিক মাদবরের সমর্থকরা মার্কেটের সামনে জড়ো হলে নিজ বাড়ির ছাদ থেকে তাদের লক্ষ্য করে মানজার বেপারী গুলি ছোড়েন।
পুলিশ এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বেপারী, শাহাদাৎ বেপারী, কাদির বেপারী, আলমগীর বেপারীসহ চারজনকে আটক করেছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. এমদাদুল হক রাসেল বলেন, রাতে সংঘর্ষে আহত কয়েকজন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। এরমধ্যে সাতজন রোগী গুলিবিদ্ধ ছিলেন। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজুল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে