ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকতে’র প্রভাবে ভারতে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কর্ণাটকে চারজন ও কেরালায় দুজনের মৃত্যু হয়।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, শনিবার রাতে কেরালায় ঝড়ের প্রভাবে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া রোববার গোয়ায় ঝড়ের প্রভাব বেড়েছে। উপড়ে গিয়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা। এছাড়া গোয়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার রাত আড়াইটা নাগাদ এই ঝড়টি গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বাই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাট উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে ছিল। যা উপকূলে দিকে এগিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার সকালে গুজরাটে প্রবল বেগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকত’। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অফিস দিউ উপকূলসহ গুজরাটের একাধিক এলাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৮টি হেলিকপ্টার এবং ১৬টি পণ্যবাহী বিমান প্রস্তুত রেখেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। ইতোমধ্যে খাবার সরবরাহ করেছে নৌবাহিনী। কেরালা, কর্ণাটক, গুজরাত, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রে একাধিক দল মোতায়েন করেছে ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার সন্ধ্যায় একটি বৈঠক করেছেন। জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা, করোনা টিকা ইত্যাদির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন।
নদী বন্দর / পিকে