1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
দীর্ঘ কর্মঘণ্টা মৃত্যুর কারণ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা - Nadibandar.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৭ মে, ২০২১
  • ১৭৫ বার পঠিত

দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে বিশ্বে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্সের।

ইনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা নিবন্ধটি দীর্ঘ কর্মঘণ্টা নিয়ে প্রথম কোনো বৈশ্বিক গবেষণা। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ দীর্ঘ কর্মঘণ্টা জনিত কারণে স্ট্রোক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ২০০০ সাল থেকে এই হার অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মারিয়া নিরা বলেন, ‘সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার কর্মঘণ্টা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ তথ্যের মাধ্যমে যা করতে চাই তা হলো কর্মীদের সুরক্ষায় আরও পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রচারণা চালানো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৭২ শতাংশই পুরুষ এবং তারা মধ্যবয়সী অথবা আরও বয়স্ক। অনেক সময় তাৎক্ষণিক সময়ের চেয়ে এই মৃত্যু ঘটে অনেক পরে, হয়তো কয়েক দশক পরে।

এতে আরও দেখা গেছে, দক্ষিণ পূর্ব ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে ক্ষতিগ্রস্তের হার সবচেয়ে বেশি। এই অঞ্চলের মধ্যে চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে।

এই গবেষণায় ১৯৪ টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সামগ্রিক ফলাফলে দেখা গেছে, সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ কর্মঘণ্টার চেয়ে ৫৫ বা তার বেশি কর্মঘণ্টার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ ও হৃদরোগের ঝুঁকি ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

এই গবেষণায় ২০০০ সালে থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই মহামারির বছর এতে যুক্ত করা হয়নি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাসায় বসে কাজ করা এবং বৈশ্বিকভাবে অর্থনীতির গতি ধীর হয়ে যাওয়ার ফলে এই ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মহামারি এমন বিষয়গুলোকে ত্বরান্বিত করছে যা কাজের সময় বাড়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে।’ ধারণা করা হচ্ছে, মহামারির সময় অন্তত ৯ শতাংশ মানুষ আগের চেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ করছে।

বিশ্ব সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুসসহ সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, তারা নিজেরাও মহামারির সময় আগের চেয়ে বেশি সময় কাজ করছেন। মারিয়া নিরা বলেন, এই গবেষণার আলোকে তারা সংস্থাটির কাজের নীতি আরও উন্নত করবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক পেগা বলেন, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা নিয়োগকর্তার জন্য উপকারী হতে পারে কারণ এর ফলে কর্মীর কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির সঙ্কটের মধ্যে কর্মঘণ্টা না বাড়ানোটাই আসলে বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।’

নদী বন্দর / এমকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com