1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সাগরে মাছ ধরা বন্ধ, দুশ্চিন্তায় ভোলার জেলেরা - Nadibandar.com
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১
  • ১৮৫ বার পঠিত

ভোলায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ মে নদীতে গিয়ে মাছ না পাওয়ায় দল বেঁধে সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যান জেলার সাত উপজেলার প্রায় দেড় লাখ জেলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন জেলেরা।

নদীর নিষেধাজ্ঞার সময় মহাজনের ধার-দেনা ও এনজিওর কিস্তির পরিশোধ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তারা। জেলেরা বলছেন সরকারি সব নিষেধাজ্ঞা মানলেও তাদের নামে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল অনেকেই পান না। আবার যারা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেকে ওজনে কম পাচ্ছেন। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময় এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার দাবিও করেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারিভাবে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এরইমধ্যে সমুদ্রে থেকে ফিশিংবোট ও ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে এসেছেন ভোলার সাত উপজেলার জেলেরা। সমুদ্রে মাছ শিকারের জাল, ফিশিংবোট ও ট্রলারের ইঞ্জিনসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম গুছিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখছেন তারা। আবার কেউ কেউ ওইসব সামগ্রী বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর গ্রামের জেলে মো. আলমগীর মাঝি ও আল আমিন মাঝি বলেন, কয়দিন আগে নদীতে দুমাসের অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযান শেষে নদীতে গিয়ে কোনো মাছ পাই না। পরে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাই। ভালোই মাছ পাওয়া ধরছি। কিন্তু এখন সরকার আবার সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিছে।

তারা আরও বলেন, অভিযানের কারণে সমুদ্রে থেকে দৌলতখানে ফিরা আইছি। আমরা সরকারের সব অভিযান ঠিকমতো মানি।

দৌলতখান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নাছিম মাঝি বলেন, ‘আমাগো একমাত্র আয়ের উৎস জেলে পেশা। জেলে কাজ কইরা আমরা সংসার চালাই। সরকার জেলেগোরে অভিযানের মধ্যে চাল দেয়। কিন্তু আবার অনেকেই পাই না। আবার যারা পাই তারা অনেকেই ওজনের কম পাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ৬৫ দিন আমাগো কোনো ইনকাম নাই। নদীতে মাছ নাই সমুদ্রেও যাইতে পারমু না। আমরা কিস্তির টাকা দিমু কেমনে। সরকারের কাছে দাবি জানাই এই ৬৫ দিন এনজিও কিস্তির টাকা যাতে না নেয় সে ব্যবস্থা করেন।’

দৌলতখান পৌর এলাকার পাতার ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নদীতে নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা দাদন নিয়েছে, সেই টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি। নদীতে কোনো মাছ নেই। তাই জেলেরা সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সাগরেও অভিযান থাকায় জেলেরা ফিরে এসে আবারও দাদন চায়।’

jagonews24

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর জেলেরা কাঙ্ক্ষিত মাছ শিকার করতে না পারায় আমরা ব্যবসায়ীরা অনেক লোকসানে আছি।’

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য আমরা জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন ঘাটগুলোতে সচেতনতামূলক সভা করেছি। ভোলার সাত উপজেলায় ১ লাখ ৩৯ হাজার জেলের নিবন্ধন রয়েছে। এদের মধ্যে এ বছর নিষেধাজ্ঞার সময় জেলার সাত উপজেলায় ৬৩ হাজার জেলে প্রত্যেকে সরকারিভাবে ৮৬ কেজি করে চাল পাবেন। আর জেলেদের চাল ওজনের কম দেয়ার ঘটনা নেই বললেই চলে। এরপরও জেলেরা যাতে চাল ওজনের কম না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় বিভিন্ন এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের ব্যাপারে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

উল্লেখ্য, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ভোলার সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

নদী বন্দর / পিকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com