আফ্রিকার দেশ গণপ্রজাতন্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে পাঁচ শতাধিক বসতঘর। এখনও ১৭০ শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
সোমবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
শনিবার স্থানীয় সময় রাতে হঠাৎ করেই মাউন্ট নিরাগঙ্গের এই অগ্ন্যুৎপাতের পর ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। এ সময় লাভার স্রোত থেকে বাঁচতে গোমা শহর থেকে পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী দেশ রুয়ান্ডায়। অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন গোমা শহরের পশ্চিম দিকের উঁচু এলাকায়। সেখানকার স্কুল ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, কঙ্গো থেকে তাদের সব বিমান পাশের দেশ উগান্ডায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গোমার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। অগ্ন্যুৎপাতের খবর পেয়ে ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফ্লেক্স তিশিসেকেদি।
অভিযোগ উঠেছে, এই আগ্নেয়গিরির ওপর ঠিকমতো নজর রাখা হচ্ছিল না। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংক এ সংক্রান্ত আর্থিক সহযোগিতা বাতিল করে দেয়।
সবশেষ ২০০২ সালে দেশটিতে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। তখন ২৫০ জনের মতো নিহত হয়েছিল। ঘরবাড়ি হারায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। এই আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ রকমের উদগীরণ হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। সেবার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় এই আগ্নেয়গিরিটিকে ‘ধ্বংসাত্মক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।