করোনার কারণে ঘরের মাঠে পিএসএল স্থগিত। টুর্নামেন্টের বাকি অংশ আয়োজন করা হচ্ছে আরব আমিরাতের মাটিতে। কিন্তু এ নিয়ে একের পর এক দারুণ সব জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। নানা জটিলতার কারণে এখনও পর্যন্ত সব ক্রিকেটারকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে উড়িয়ে নিতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
নানা জটিলতার পর একটি বাণিজ্যিক বিমানকে ভাড়া করা হয়েছিল শেষ ১৬জন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফকে আরব আমিরাতে উড়িয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু বিমানটি মোট ৫জনকে নিয়ে উড়ে যায়। সাবেক অধিনায়ক সরফরাজসহ মোট ১১জন ক্রিকেটারকে বিমানে চড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।
ইএসপিএন রিপোর্ট করেছে, ‘১১জন ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তাকে একটি বাণিজ্যিক বিমানের বোর্ডিং পাস দিতেই অস্বীকৃতি জানানো হয়। যাদের মধ্যে ছিলেন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও। লাহোর এবং করাচি থেকে এসব ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের বিমানে ওঠার কথা। বিমানটি আবুধাবি যাওয়ার কথা কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ঠিক করেছিল, লাহোর এবং করাচি থেকে ২৫ মে দু’টি চাটার্ড ফ্লাইটে করে আবুধাবি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে পিএসএলে অংশ নিতে চলা প্রতিটি ক্রিকেটারকে। তবে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত লাহোর ও করাচির হোটেলে কার্যত বন্দি হয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ।
মূলতঃ পিসিবির চার্টার্ড বিমান আমিরাতে অবতরণের অনুমতিই পায়নি প্রাথমিকভাবে। বিশেষ করে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে সমস্ত সম্প্রচার কর্মীর আমিরশাহি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল, তাদের বিমান অবতরণের অনুমতি মেলে দেরিতে।
শেষমেশ বেশিরভাগ ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও পিসিবি কর্তারা চার্টার্ড বিমানে আমিরাতে পৌঁছলেও পাকিস্তানে রয়ে যান ১৬ জন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ, যাদের মধ্যে নাম রয়েছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়র সরফরাজ আহমেদও।
রোববার করাচি ও লাহোর থেকে যে সব ক্রিকেটারদের বাণিজ্যিক বিমানে আবুধাবি রওনা হওয়ার কথা ছিল, তাদের মধ্যে মাত্র ৫ জনকেই বিমানে চড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সরফরাজসহ সোট ১১ জনকে বিমানেই চড়তে দেওয়া হয়নি।
ফলে বাধ্য হয়েই সরফরাজদের হোটেলে ফিরে যেতে হয়, যেখানে তারা গত ২৪ মে থেকে আটকে রয়েছেন। পিসিবি যদিও রোববার রাতেই বাহরাইন হয়ে সরফরাজদের আমিরাতে উড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
নদী বন্দর / সিএফ