বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিত করেই খুলে দেওয়া হবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া সম্পন্ন করতে আসন্ন ঈদুল আজহা পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। জুলাইয়ে দ্বিতীয় ডোজ শেষ করেই আবাসিক হলসহ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে আগস্টের প্রথম দিকে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, চলতি জুনের শুরুতেই চীনা টিকা পাওয়ার পর অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ শুরু করা হবে। চীনের এ টিকার দ্বিতীয় ডোজ ২১ থেকে ২৮ দিন পর থেকেই দেওয়া যায়। যদি এখন শুরু করা যায় তাহলে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করে ঈদুল আজহার পর আগস্টের শুরুর দিকে সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো সরাসরি পরিচালিত হবে শিক্ষা কার্যক্রম, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে মঙ্গলবার (১ জুন) মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চার সিদ্ধান্তের মধ্যে দুটিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯-এর টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা দেওয়া কর্মসূচি আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। আর শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯-এর টিকা সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম আগের মতো চালু হবে।
চলতি জুনে চীনের টিকা বাংলাদেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, চীন থেকে ৬ লাখ ডোজ টিকা আসছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে সব শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করা হবে। তারপর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।
আগামী ২১ অথবা ২২ জুলাই (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সেই হিসেবে ঈদের দুই সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসহ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে গত ২৭ মে বৈঠক করে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। সোমবার (৩১) মে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আলাদা করে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে করোনার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে।
নদী বন্দর / এমকে