কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নৌবন্দর প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন চিলমারীবাসী।
বুধবার (৯ জুন) উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠন এবং চিলমারী প্রেসক্লাবের আয়োজনে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমা বেগম।
আরও উপস্থিত ছিলেন, চিলমারী প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম নুরুল আমিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফা রঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম রাকু, ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।
আনন্দ র্যালিতে উপজেলার সর্বস্তরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম বলেন, ‘চিলমারী নৌবন্দর প্রকল্পকে একনেকে অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিলমারীবাসীর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এ এলাকায় নৌপথে যাত্রী পরিবহন এবং যাতায়াতকৃত মালামালের সুষ্ঠু নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন ওঠানামা নিশ্চিত করা যাবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। ফলে এই এলাকার মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অবশেষে চিলমারীবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিআইডব্লিউটিএ। এটি বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। নৌ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার মানুষের ভাগ্যের দ্বার উন্মোচিত হবে।’
অনুষ্ঠানটির শেষ পর্যায়ে জনসাধারণের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
নদী বন্দর / সিএফ