চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুটি জাতের আমের বৈশিষ্ট্য ও নামকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কানসাট রাজার বাগানে বিভিন্ন জাতের আমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ উদ্যোগ নিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে গুটি জাতের উৎপাদিত বেনামি আমের নামকরণ ও বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে রাজার বাগানে সোমবার থেকে কাজ শুরু করেছে আমবিজ্ঞানী, উদ্যানতত্ত্ববিদ, কৃষিবিদ, আমচাষি ও প্রশাসনের সমন্বয়ে কমিটির সদস্যরা।
কমিটির আহ্বায়ক চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক এ কে এম তাজকির-উজ-জামান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য আম। এ জেলায় ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ জাতের আম রয়েছে। নামিদামি আমের পাশাপাশি বেনামি ও অপরিচিত আমের সংখ্যা অনেকাংশে বেশি। এর মধ্যে এমনও আম রয়েছে, যেগুলো স্বাদে অতুলনীয়। তেমন প্রচার না থাকায় এসব আম বাজার পায় না। ফলে স্থানীয় এবং জেলার বাইরের আমপ্রেমীদের কানেও পৌঁছাচ্ছে না এসব আম। দামও তেমন পান না আমচাষিরা। ফলে অনেকেই এ জাতের আমের গাছ কেটে ফেলছেন। ফলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে অনেক আম।
তিনি আরও বলেন, গুটি জাতের এসব আম থেকে কমপক্ষে ১০০ জাত নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আম নির্বাচন করে তার নামকরণ এবং বৈশিষ্ট্য লিপিবদ্ধ করতে আমবিজ্ঞানী, উদ্যানতত্ত্ববিদ, কৃষিবিদ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ১২ সদস্য কাজ করবে। সে অনুযায়ী কানসাটের ঐতিহ্য রাজার বাগানে যান সদস্যরা। তারা ১৭ ধরনের আম সংগ্রহ করেন। ১০০ বিঘার বাগানটিকে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাঙ্গো মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এখানে নানা জাতের প্রায় আড়াই হাজার আমগাছ এবং অনেক বেনামি সুস্বাদু জাতের আম রয়েছে।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দীন জানান, আমের জাত বিকাশে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ভবিষ্যতের গবেষণায়, জাত উন্নয়নে এ উদ্যোগ অবদান রাখবে। এ জাতগুলো বিলুপ্তির হাত থেকে যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি আমচাষিরা লাভবান হবেন। এতে জেলার অর্থনীতির চাকা আরও সচল হবে।
নদী বন্দর / জিকে