ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গেছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট। এ ঘটনায় বিমানের চাকা এবং ইঞ্জিন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন বিমানটির ক্রু ও যাত্রীরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (২১ জুলাই) সকালে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোচি থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ২৭৪৪ এ৩২০ বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
মুম্বাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে কোচি থেকে আসা একটি ফ্লাইট ভারী বৃষ্টিতে ভেজা রানওয়েতে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি ব্যবস্থাপনা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। বিমানে থাকা যাত্রী ও ক্রু সকলেই নিরাপদে আছেন।’ তবে বিমানটিতে কতজন যাত্রী ও ত্রু ছিলেন তা এখনো জানানো হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান রানওয়ে ০৯/২৭-এ কিছু ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তাই রানওয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সেকেন্ডারি রানওয়ে ১৪/৩২ চালু করা হয়েছে। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সবসময়ই যাত্রী ও উড়োজাহাজের নিরাপত্তা।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, টাচডাউন জোনের কাছে অবতরণের পরপরই বিমানটি মূল রানওয়ে থেকে ১৬ থেকে ১৭ মিটার দূরে ছিটকে যায়। এরপর বিমানটি একটি কাঁচা জায়গায় এবং একটি ট্যাক্সিওয়েতে গিয়ে থেমে যায়। অবতরণের সময় বিমানের তিনটি টায়ার ফেটে গেছে, একই সঙ্গে ইঞ্জিনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোচি থেকে মুম্বইগামী এআই ২৭৪৪ বিমানটি অবতরণের সময় ভারী বৃষ্টির সম্মুখীন হয়, যার জেরে টাচডাউনের পর রানওয়ে থেকে ছিটকে যায়। সকল যাত্রী ও ক্রু সদস্যরা নিরাপদে নেমেছেন। বিমানটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যাত্রীদের সুরক্ষাই আমাদের কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২৪২ জন যাত্রীসহ লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার কিছু সময় পরই একটি মেডিকেল ছাত্রবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুরে উড্ডয়নের পর মাত্র ১০০ মিটার (প্রায় ৩৩০ ফুট) ওপরে উঠেই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ দুঘর্টনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৯ জন, যা ভারতের বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
নদীবন্দর/এএস
–