রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তাদের মৃতদেহ দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর। অপরদিকে যেসব মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি খোঁজখবর রাখছেন এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে হাসপাতাল এলাকায় বিনা প্রয়োজনে ভিড় না করার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা ঘিরে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তথ্যমতে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত আরও ১৬৪ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে একটি বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বহুতল ভবনে আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা এবং মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় বিমান ও ভবনে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ভবনের ভেতরে অবস্থানরত অনেক শিক্ষার্থী আগুনে দগ্ধ হয় এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। পরে এই উদ্ধার কাজে যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের সহায়তায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নদীবন্দর/জেএস