চীনে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ১০০ কোটিরও বেশি ডোজ দেয়া হয়েছে। শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। এর ফলে সারাবিশ্বে দেয়া করোনা ভ্যাকসিনের এক তৃতীয়াংশের বেশি ডোজ দেয়া হয়েছে শুধু চীনেই।
শুক্রবার সারাবিশ্বে করোনা ভ্যাকসিনের আড়াইশো কোটি ডোজ দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর পরদিনই দেশে ১০০ কোটি ডোজ দেয়ার কথা জানাল চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
চীনের কত শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। করোনা সংক্রমণ বেশ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করার পর সেখানে ভ্যাকসিন কার্যক্রম ধীর গতিতে শুরু হয়েছিল।
ভ্যাকসিন নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব এবং অতীতে কেলেঙ্কারির কারণে চীনা জনগণ ভ্যাকসিন নিতে তেমন আগ্রহী ছিল না।
চীনের সরকার জুন মাসের শেষ নাগাদ দেশটির প্রায় ১০০ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশকে পুরোপুরি ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়েছে।
কিছু কিছু প্রদেশে লোকজনদের ভ্যাকসিন নিতে বিভিন্ন অফার দেয়া হচ্ছে। আনহুই প্রদেশে ভ্যাকসিন নিলে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে ডিম, আবার বেইজিংয়ে অনেকে ভ্যাকসিন নিয়ে শপিং কুপন পেয়েছেন।
গুয়াংজু প্রদেশে সম্প্রতি ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সেখানকার অধিবাসীদের ভ্যাকসিন গ্রহণে বেশ আগ্রহ দেখা যায়। রোববার চীনে নতুন করে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
চীনে করোনাভাইরাসের মোট চারটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এগুলোর সবগুলোর কার্যকারিতাই ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনের চেয়ে কম।
সিনোভ্যাক জানিয়েছে, ব্রাজিলের ট্রায়ালে তাদের ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। সিনোফার্মের দুটি টিকার কার্যকারিতা যথাক্রমে ৭৯ ও ৭২ শতাংশ। আরেক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনোর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৬৫ শতাংশ।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, দেশটি এ বছরের মধ্যে ৩০০ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ প্রস্তুত করবে।
সূত্র : এএফপি
নদী বন্দর / জিকে