প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীতে দেখা দেয় ভাঙন। কিন্তু বর্ষা পেরিয়ে হেমন্তে এসেও থেমে নেই এই তাণ্ডব। দীর্ঘদিন ধরে মেঘনায় যত্রতত্র ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভেঙে বিলীন হচ্ছে রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের হাজারো বসত-ভিটা, গাছপালাসহ ফসলি জমি। হুমকির মুখে অনেক গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ ও কবর স্থান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁনপুর ইউনিয়নের পূর্ব হোসেন নগর মৌজায় জয়বাংলা ট্রেডার্সকে বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। ইজারাদাররা নির্ধারিত স্থান থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পাড়াতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মেঘনার তীরবর্তী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন জানান, বালু মহালের কারণে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় তা বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে চরাঞ্চলের পাড়াতলী ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম, চাঁনপুর, চরমধুয়া ও শ্রীনগর ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম এবং মির্জাচর ইউনিয়নের মির্জাচর বাজারসহ বেশকটি গ্রাম নদীগর্ভে আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
নদী বন্দর / এমকে