বাংলাদেশের পণ্যে পারস্পরিক শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। এরপরই শুক্রবার (১ আগস্ট) ভারতের পোশাক বাজারের শেয়ারে দরপতন হয়েছে।
বাংলাদেশ আগে থেকেই তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানির অন্যতম বড় দেশ। নতুন এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় পোশাক প্রস্তুতকারকদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘোষণার পরপরই ভারতীয় টেক্সটাইল খাতের একাধিক কোম্পানির শেয়ার দামে উল্লেখযোগ্য পতন ঘটে। আপস্টক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কেপিআর মিলসের শেয়ার ৫ শতাংশ, ওয়েলসপুন লিভিংয়ের শেয়ার ২ শতাংশ, অলোক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ০ দশমিক ৮ শতাংশ, পিয়ার্ল গ্লোবালের শেয়ার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, গোকূলদাস এক্সপোর্টের শেয়ার ২ দশমিক ৬ শতাংশ, কিটেক্স গার্মেন্টসের শেয়ার ৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং বর্ধমান টেক্সটাইলের শেয়ার ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রকাশিত আমদানি শুল্ক তালিকা অনুসারে, ৫০টিরও বেশি দেশের ওপর শুল্ক কমিয়েছে ট্রাম্প। এতে রয়েছে বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তান (১৯ শতাংশ), ভিয়েতনাম (২০ শতাংশ) এবং মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো আসিয়ান দেশগুলোতে ১৯ শতাংশ। তবে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে ঘিরে ভারতীয় রফতানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে শ্রমনির্ভর খাত যেমন টেক্সটাইল ও উচ্চমূল্যের ইলেকট্রনিকস পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রই ভারতের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য, আর সেখানে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এখন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি করেছে। এরফলে দেশটির পণ্যে ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে দেশটি। যেখানে গত এপ্রিলে আরোপ করা হয়েছিল ২৯ শতাংশ শুল্ক। এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে তেল অন্বেষণেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নদীবন্দর/জেএস