দাফনের ১৫ দিন পর আদালতের নির্দেশে কলেজছাত্রী ইশরাত জাহান মিমের (১৯) মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে নগরীর মুন্সীপাড়া কবরস্থান থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মলিহা খানমের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৭ জুন নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুকরুল দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মালেকের মেয়ে ও রংপুর সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান মিমকে প্রতিবেশী বান্ধবী আইভি আক্তার ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরদিন ৮ জুন বাড়ির অদূরে পরিত্যক্ত একটি পুকুর থেকে মিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত না করেই দাফন করা হয়।
পরে মিমকে হত্যার অভিযোগ এনে রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন নিহতের মা নার্গিস বেগম। বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মিমের বান্ধবী আইভি, তার ভাই মুন্না ও তার বন্ধু আল-আমিন টাইগারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরশুরাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলতাফ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া হবে। তবে স্বজনরা দাবি করেছেন মিমকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের পরশুরাম থানার ওসি (তদন্ত) আবু মুসা সরকার বলেন, মরদেহ উত্তোলন করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে