ভারি বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন। টানা বর্ষণে বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। এদিকে এ বৃষ্টিপাতে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে বুধবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত ৯৪ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (২৮ জুন) থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারি বর্ষণে রুপ নেয়, যা বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া পানি জমেছে জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায়।
এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারি বৃষ্টিপাতে গতকালের চেয়ে বুধবার ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১৯ সে.মি. ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩০ সে.মি. ও চিলমারী পয়েন্টে পানি ২৬ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, জেলাজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। একদিকে চলমান সীমিত লকডাউনে যাত্রী সঙ্কট আর অন্যদিকে বৃষ্টিপাতে অসহায় হয়েছে পড়েছেন রিকশা ও ভ্যানচালকরা।
জেলা সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের রিকশাচালক মজিবর বলেন, ‘দুদিন থেকে বৃষ্টির জন্য বের হতে পারছিলাম না। কিন্তু ঘরে খাবার না থাকায় বাধ্য হয়ে আজ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বেড়িয়ে পড়েছি। তবে লকডাউন ও ভারি বৃষ্টির ফলে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে একটা যাত্রীরও দেখা পেলাম না।’
কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ভ্যানচালক বৃদ্ধ বানছের আলী বলেন, ‘গতকাল থেকে অসুস্থ আমি। তবুও বৃষ্টির মধ্যে ভ্যান গাড়িতে মালামাল পরিবহন করছি। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘জেলাজুড়ে চলমান ভারি বৃষ্টিপাত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
নদী বন্দর / জিকে