কেউ পারিবারিক সমস্যা, আবার কেউ দেখিয়েছেন পারিবারিক কারণ। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরের জন্য ঘোষিত দলে স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারসহ ৭ তারকা ক্রিকেটারকে রাখতে পারেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
তবে এখন শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সফরে না এলেও পরের মাসে হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটে ঠিকই খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটাররা। এ বিষয়ে বাঁধা দেবে না দেশটির ক্রিকেট বোর্ডও।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ৪ মে ২৯টি ম্যাচ হওয়ার পর স্থগিত করে দেয়া হয়েছে আইপিএলের ১৪তম আসরের খেলা। সবকিছু পরিকল্পনা মোতাবেক থাকলে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর তারিখের মধ্যে আরব আমিরাতে হবে আসরের বাকি ৩১ ম্যাচ।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানাচ্ছে, আইপিএলের বাকি অংশে অস্ট্রেলিয়ার সিংহভাগ ক্রিকেটারকেই পাওয়া যাবে। তবে অনেক আগেই আইপিএল না খেলার কথা জানানো প্যাট কামিনস খেলবেন না টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় অংশে।
এবারের আইপিএলে সবমিলিয়ে ছিলেন ২০ জন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। এর মধ্যে ৯ জন জায়গা পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরের দলে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এ দুই সফর থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ঝাই রিচার্ডসন, কেইন রিচার্ডসন, মার্কাস স্টয়নিস ও ড্যানিয়েল শামস।
কিন্তু তারা সবাই-ই অংশ নেবেন আইপিএলের বাকি অংশে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটেও এটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখা হচ্ছে। কারণ আইপিএলের ঠিক পরপর আমিরাত ও ওমানে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ ম্যাচ হতে পারে আমিরাতেই।
এদিকে শুধু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারই নয়, সব দেশের ক্রিকেটারদেরই আইপিএলের বাকি অংশে পাওয়ার ব্যাপারে দলগুলোকে আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এরই মধ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে রাজি করানোর কাজে হাত দিয়েছে বিসিসিআই।
আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আইপিএলে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে বিদেশী খেলোয়াড়দের ব্যাপারে চূড়ান্ত তথ্য জানাবে আয়োজকরা।
নদী বন্দর / এমকে