পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় খুলনার কয়রা উপজেলার বড় একটি বিলের তিন হাজার বিঘা কৃষিজমির ফসলহানি হয়ে আসছিল। একইসঙ্গে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ৭ গ্রামের মানুষের চলাচল ও বসবাসের বিঘ্ন ঘটে। অবশেষে এ দুর্ভোগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর সহযোগিতায় বিল এলাকার বড় ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে সাকবাড়িয়া খালে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বড় এই বিলে চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা নির্বিঘ্নে চাষাবাদসহ চলাচল করতে পারবে।
সোমবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিশাল আকৃতির দুটি পাইপ বসানো হয়েছে। এ সময় ৭ গ্রামের কয়েকশত কৃষক ও সাধারণ মানুষ পাইপ বসানোর কাজে অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ইউনিয়নের মহারাজপুর, মঠবাড়ী, কালনা, শ্রীরামপুর, অন্তাবুনিয়া, দেয়াড়া ও খড়িয়া গ্রামের মানুষ অতিবৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে। কারণ, ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা পরবর্তী শাকবাড়য়িা খালের বড় ব্রিজটি ধসে পড়ায় এলাকাবাসী নিজ নিজ এলাকা মুক্ত রাখতে সেখানে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে। ফলে দীর্ঘদিন উল্লেখিত গ্রামের মানুষ প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দি হওয়ায় ধান ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
জানা গেছে, বিষয়টি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিগত কয়েক বছর যাবত আন্দোলন করে আসলেও দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবির মুখে ইউপি চেয়ারম্যান সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে নিষ্কাশনের কাজটি শুরু করেন।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, ‘আইলা পরবর্তী বিকল্প পথে পানি নিষ্কাশন হতে দীর্ঘ সময় লাগত। শাকবাড়ীয়া খালের বিধ্বস্ত বড় ব্রিজের স্থানে অস্থায়ী বাঁধ আছে। চারটি ইউনিয়নের মানুষ ও প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করায় সেই বাঁধ কাটা সম্ভব হয়নি। তবে এমপির নির্দেশে অবশেষে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাইপ বসানো হয়। ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষ দ্রুত পানি মুক্ত হবে।’
নদী বন্দর / পিকে