1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মৃত্যুর আগে স্বামীকে যেসব কথা বলে গেলেন সেই শিক্ষিকা - Nadibandar.com
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর, ঢাকা
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ হোন স্কুলের কো-অর্ডিনেটর মাহরিন চৌধুরী (৪২)। শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে শরীরের ১০০ শতাংশই দগ্ধ হয়েছিল তার। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এরপর ওইদিন (সোমবার) রাতেই তার মৃত্যু হয়। তবে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার আগে স্বামী মনছুর হেলালের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল মাহরিন চৌধুরীর।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) গ্রামের বাড়ি নীলফামারীতে জানাজার আগে শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর কীভাবে অনেক শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দিলেন, সেই সাহসিকতার বর্ণনা তুলে ধরেন স্বামী মনছুর হেলাল।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঠিক যেদিক দিয়ে বাচ্চারা বের হবে, ওখানেই বিমানটি ক্রাশ করছে, তারপরে এক্সপ্লোশন হয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। মাহরিন বাচ্চাদের বাঁচাতে যায় এবং কিছু বাচ্চাকে সে বের করে নিয়েও আসে।

আইসিউতে মাহরীনের সঙ্গে শেষ কথা প্রসঙ্গে মনছুর হেলাল বলেন, আমি তাকে বললাম, তুমি কেন এ কাজ করতে গেলে? সে আমাকে বলে- বাচ্চারা আমার সামনে সব পুইড়া মারা যাচ্ছে, আমি এটা কীভাবে সহ্য করি। ও (মাহরীন) সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, কিছু বাচ্চা বের করছে, আরও কিছু বাচ্চা বের করার চেষ্টায় ছিল। ঠিক এমন সময় বিকট শব্দে আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। আর তাতেই মাহরীনের পুরো শরীর পুড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মাহরীনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব পুড়ে শেষ। শুধু বেঁচে ছিল, একটু কথা বলতে পারছে। আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার আগে বলল, আমার ডান হাতটা শক্ত করে ধরো। হাত ধরা যায় না, সব পুড়ে শেষ। ও বলল, তোমার সাথে আর দেখা হবে না।

স্বামীর হাত ধরে মাহরীন তখন বলছিলেন, আমার বাচ্চাদের দেখো। জবাবে মনছুর বলেন, তোমার বাচ্চাদের এতিম করে গেলা। মাহরীন তখন বলেন, কী করব, ওরাও তো (মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা) আমার বাচ্চা, সবাই পুড়ে মারা যাচ্ছে, আমি কীভাবে সহ্য করব?

মনছুর হেলাল সাংবাদিকের বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সবাই সহযোগিতা করেছে, কিন্তু তাকে বাঁচাইতে পারলাম না। ও (মাহরীন) আমাকে  বলে আমার খুব খিদা লাগছে আমারে কিছু খাওয়াও, আমি তিন ফোঁটা পানি ছাড়া কিচ্ছু দিতে পারি নাই। ডাক্তার বলে, শক্ত কিছু দিলেই বুকে আটকায়ে মারা যাবে।

উল্লেখ্য, মাহরীন চৌধুরী নীলফামারীর জলঢাকার মৃত মহিতুর রহমান চৌধুরীর মেয়ে এবং জলঢাকা বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি। নিজ গ্রামে শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন মাহরীন চৌধুরী।

নদীবন্দর/জেএস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com