চিলির ইউজেনিও মিনার মুখে ফ্লাইং কিক দেয়ার অপরাধে এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ব্রাজিল স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল হেসুসকে। সুতরাং, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালের মত মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হেসুসকে আর পাচ্ছে না ব্রাজিল। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিপক্ষে নিজের ক্ষোভ উড়রে দিলেন নেইমার।
কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের শুরুর আগে থেকেই বিতর্কের শিরোনামে ব্রাজিল ফুটবল। প্রথমে করোনা পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন, ফের মাঠের খারাপ অবস্থার বিরুদ্ধে মন্তব্যে কোচ তিতের জরিমানা, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই বিতর্কের অপর নাম যেন ব্রাজিল।
রোববার (বাংলাদেশ সময় ভোরে) মেগা ফাইনালের আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেও বিতর্ক, নিষেধাজ্ঞা এবং ক্ষোভ প্রকাশের ধারা অব্যাহত রইলো।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল গোল করার মাত্র মিনিট কয়েক পরই চিলির ইউজেনিও মিনার মুখে ফ্লাইং কিক দিয়ে লাল কার্ড দেখেন স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল হেসুস। যে কারণে সেমিফাইনালে মাঠে নামা হয়নি ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের।
এরপর অতিরিক্ত শাস্তি হিসাবে ম্যানসিটির এই ফরোয়ার্ডকে ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে টুর্নামেন্টের আয়োজক সংস্থা কনমেবল। শুধু তাই নয়, সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনোরকম আপিল করা যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তারা।
কনমেবলের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই যে মেনি নিতে পারেনি ব্রাজিল দল, তা তারকা ফুটবলার নেইমারের কথাতেই স্পষ্ট। সতীর্থের ফাইনালে নামতে না পারার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কনমেবলকে বিদ্রূপের ভাষায় তীব্র কটাক্ষ করেন ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সিধারী এই খেলোয়াড়।
নেইমার বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত যে সব লোকেরা নেয়, তাদের অধীনে থেকে খেলা চালিয়ে যাওয়া খুবই হতাশা এবং লজ্জাজনক। তারা খেলার দারুণ একটা বিশ্লেষণ করেছে এবং এর জন্য ওদের সাধুবাদ প্রাপ্য। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কোনো রকম আপিল করারও সুযোগ নেই। অভিনন্দন কনমেবল। আমার মনে হয় না আপনারা আসলে কী ঘটেছিল, সেটা ভালভাবে লক্ষ্য করেছেন।’
দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন হেসুসও। এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় হেসুস লেখেন, ‘দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে আপিলের কোনো সুযোগ নেই। বাহ! অভিনন্দন কনমেবল। আমার মনে আপনারা দেখেননি আসলে ওই সময় কী ঘটেছিল?’
চিলির বিপক্ষে যে সময় লাল কার্ড দেখেন হেসুস, এরপর প্রায় পুরো একটি অর্ধ ব্রাজিলকে খেলতে হয়েছিল ১০জনের দল নিয়ে। এ অবস্থায় হেরেও যেতে পারতো ব্রাজিল। এ নিয়ে হেসুস বলেন, ‘ম্যাচ শেষে আমি আমার সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি ভুল থেকে শেখার জন্য। আর আমিও খুব খুশি যে, শুনেছি মিনা এখন সুস্থ এবং তার সঙ্গে আমি কথাও বলেছি।’
দলের নিয়মিত এক সদস্যকে হারিয়ে ফাইনালের আগে যে তিতের দলের ওপর চাপ একটু বেড়ে গেল, তা বলার অবকাশ রাখে না। তবে গতবারের কোপা জয়ে চোটের কারণে দলের অংশ না থাকতে পারার আক্ষেপ যে নেইমার সুদে-আসলে মিটিয়ে নিতে চাইবেন, তা নিশ্চিত। ফাইনালে ব্রাজিল তারকার ম্যাজিকের দিকেই তাকিয়ে থাকবে সেলেসাওরা।
নদী বন্দর / এমকে