দুই দিন পর ১৪ জুলাই দুই বছর পূর্তি হবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই বাউন্ডারি বেশি হাঁকানোর নিয়মে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংলিশরা। সেই উদ্ভট নিয়মের জন্য এখনও ইংল্যান্ডকে খোঁচা মারতে ছাড়ছেন না কিউই ক্রিকেটাররা।
রোববার দিবাগত রাতে ইউরো কাপের ফাইনাল ম্যাচটি ছিল ১-১ গোলে ড্র। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেখানে গোল করতে পারল না ইংল্যান্ড-ইতালির কেউই। তাই ফল নির্ধারণের জন্য দ্বারস্থ হতে হয় টাইব্রেকারের। যেখানে ৩-২ ব্যবধানে জিতে ৫৩ বছর ইউরো কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইতালি।
বছর দুয়েক আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপেও অমীমাংসিত ছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের লড়াই। মূল ম্যাচে দুই দলই করেছিল সমান ২৪১ রান। ফলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও দুই দলের সংগ্রহ সমান ১৫ রান। সুপার ওভারেও ফল না আসায় বাউন্ডারি সংখ্যার হিসেব করা হয়।
মূল ম্যাচে ১৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কার মারে ২৪১ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ঠিক ২৪১ রান করার পথে ২২ চার ও ২ ছক্কা হাঁকায় ইংল্যান্ড। তাই বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে ইংল্যান্ডকেই ঘোষণা করা হয় ২০১৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন।
সেই ফাইনালের সঙ্গে দুই বছর পরের ইউরো কাপের ফাইনালের মিল বের করেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস ও বর্তমান অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। দুজনই খোঁচা দিয়ে বলেছেন, টাইব্রেকারের বদলে পাস কিংবা কর্নার সংখ্যা বেশি থাকার সুবাদে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা উচিত ছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে স্টাইরিস খোঁচা মেরে লিখেছেন, ‘আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। ইংল্যান্ডের বেশি কর্নার ছিল। অবশ্যই তারা চ্যাম্পিয়ন।’
একই সুরে নিশামের টুইট, ‘এখানে পেনাল্টি শ্যুটআউট কেন হলো? যারা বেশি পাস দিয়েছে তাদেরকেই শিরোপা দিয়ে যেত না? (মজা করছি)।’
স্টাইরিস ও নিশামের টুইটে নেটিজেনদের অনেকেই প্রকাশ করছেন একাত্মতা, ব্যঙ্গ করছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে।
নদী বন্দর / সিএফ