জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার তোড়ে অন্তত ছয়টি বাড়ি ভেঙে চারজন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটির আহরোয়েইলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গত দুইদিনে দেশটিতে বিরূপ আবহাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, বন শহরের দক্ষিণাঞ্চলে আহর নদীর উপচেপড়া পানির তোড়ে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। বন্যা থেকে বাঁচতে অন্তত অর্ধশত মানুষ ঘরের চালে আশ্রয় নিয়েছিলেন, যা ঘরগুলোকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে।
অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ স্থানীয় এসডব্লিউআর টেলিভিশনকে বলেন, এমন বিপর্যয় আমি আগে কখনোই দেখিনি, যেখানে এত অল্প সময়ে নদীর তীর উপচে পড়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বাদ নিউউনাহার এলাকায় বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে রয়েছে। একটি গাড়ি বেঁড়ার ওপর উঠে গেছে। গাছ উপড়ে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
কোবলেনজ এলাকার পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পুরোপুরি হিসাব পাওয়া যায়নি। ওই এলাকায় দমকল বাহিনী এবং উদ্ধারকর্মীদের পাঠানো হয়েছে।
রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের প্রধান মালু ড্রেয়ার বলেন, এটা মহাবিপর্যয়। মানুষজন মারা গেছে, নিখোঁজ হয়েছে, এখনো অনেকে বিপদে রয়েছে। আমাদের সকল জরুরি পরিষেবা দিনরাত কাজ করছে। বন্যায় ভুক্তভোগীদের জন্য আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।
এর আগে, গত বুধবার জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের স্যরল্যান্ড এলাকায় দুই দমকল কর্মী মারা যান। বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, একজন মারা গেছেন পানিতে ডুবে, আরেকজন একটি উদ্ধার অভিযান শেষেই লুটিয়ে পড়েন।
বন্যার কারণে সেখানে রেল ও যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে ছিল মালবাহী জাহাজ চলাচলও। জার্মানির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে আগামী কয়েকদিন আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নদী বন্দর / বিএফ