দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চাপ নেই যাত্রী ও যানবাহনের। ফলে বিধিনিষেধে ঘাটে আসা যাত্রীরা ফেরিতে করে সহজেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।
সোমবার (২ আগস্ট) সকালে দৌলতদিয়াঘাটে গুটি কয়েক যানবাহন দেখা গেলেও যাত্রী নেই বললেই চলে। যারা আসছেন তারা ফেরিতে করেই অনায়াসে পার হচ্ছেন পদ্মা।
এদিকে মহাসড়কে কোনো গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীদের ছোট ছোট যানবাহনের ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়ায় আসতে হচ্ছে। এতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
অপরদিকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সড়কে টহল দিতেও দেখা গেছে তাদের।
ঘাটের ব্যবসায়ী সম্রাট সাজাহান বলেন, ঘাটে কোনো ভিড় নাই। যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে এসেই ফেরিতে উঠছেন। ফেরি যানবাহন ও যাত্রীর অপেক্ষায় বসে আছে।
ঢাকামুখী যাত্রী অনিক আহমেদ, রাজিব হোসেন, আকমল ব্যাপারীসহ কয়েকজন বলেন, অনেকক্ষণ দৌলতদিয়াঘাটে এসেছেন। ঘাট একেবারেই ফাঁকা। ফেরিতে উঠলেও যাত্রী ও যানবাহনের অপেক্ষায় ফেরি ছাড়ছে না।
তারা আরও বলেন, ঘাট পর্যন্ত অসতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সড়কে গাড়ি নেই। ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে এসেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়াঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, শনিবার থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ ছিল। এসময় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি বৃদ্ধি করা হয়। তবে রোববার সকাল থেকে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। যে কারণে জরুরি সেবার যানবাহন পারাপারে কয়েকটি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। সেগুলো কোনো চাপ ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে যাচ্ছে।
নদী বন্দর / সিএফ