বগুড়ার ধুনটে যমুনার বাঁধ রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পারের আরও ২৫ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ নিয়ে নদীতে বিলীন হয়েছে স্পারের প্রায় ৭৫ মিটার অংশ। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং আশপাশের জনবসতি।
রোববার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকেই এই স্পারে তৃতীয় দফায় ভাঙন শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্পারের সামনের দিকে ঢালাই করা অংশ থেকে মাটির তৈরি অংশ আলাদা হয়ে গেছে। ওপরের অংশ পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঢালাই করা অংশ। যমুনা নদীর পানি আর স্রোত বাড়লে সামনের দিকের ঢালাই করা অংশও নদীতে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। ভাঙন ঠেকাতে ২০০৩ সালে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পারটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতদিন অনেক দূর দিয়ে নদী প্রবাহিত হওয়ায় ঝুঁকিমুক্ত ছিল স্পারটি। সম্প্রতি নদীর পানি স্পারটি অতিক্রম করে আরও ভেতরে চলে যায়। এতে গত ৫ আগস্ট পানির তোড়ে ভেঙে যায় স্পারটির ২০ মিটার অংশ। এরপরই সেখানে মেরামত কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মেরামত চলাকালেই গত ৯ আগস্ট ভেঙে যাওয়া অংশসহ আরও ৩০ মিটার স্পার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তিন দফায় স্পারের ৭৫ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখনও অব্যাহত রয়েছে ভাঙন।
স্থানীয়রা জানান, ধসে যাওয়া অংশে ধীর গতিতে মেরামত কাজ করছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাই পানির প্রবল চাপে বার বার স্পার ভেঙে নদীতে বিলীন হচ্ছে। সময় মতো মেরামত করলে স্পারটি ভেঙে পড়ত না বলে অভিযোগ তাদের।
পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, বানিয়াজান স্পারের ভাঙন ঠেকাতে নিরলসভাবে চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রবল স্রোতের কারণে টিকছে না স্পারটি।